ASANSOL

মাইথন ও পাঞ্চেতের জলস্তর বিপদ সীমার কাছে

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনুরোধ মেনে ডিভিসি বা দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন তাদের জলাধার থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বুধবার অনেকটাই কমিয়েছিলো। সোমবার ও মঙ্গলবার জল ছাড়ার পরিমাণ ৪০ হাজার কিউসেক করা হয়েছিল। কিন্তু, বুধবার রাতের পরে আচমকাই পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়। তাতে মাইথন ও পাঞ্চেত দুই জলাধারের জলস্তরের উচ্চতা অনেকটাই বেড়ে যায়। সেই কারণে বৃহস্পতিবার জল ছাড়ার পরিমাণ সকাল ১১ টা থেকে বাড়িয়ে ৬৫ হাজার কিউসেক করা হয়েছে। এদিন বিকেল সাড়ে পাঁচটার সময় তা আরো বাড়ানো হয়। এই সময় মাইথন থেকে ৫০ হাজার এবং পাঞ্চেত থেকে ৪৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে ।


ডিভিসির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর (সিভিল) অঞ্জনি দুবে বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে মাইথনে ৪৯০ .৩২ ফুট এবং পাঞ্চেতে ৪১৮ .৩৮ ফুটে জল আছে। গত ২৪ ঘন্টায় এই দুই জলাধারে অতিরিক্ত ৪ ফুট জল বেড়েছে। মাইথনের ক্ষেত্রে বিপদ সীমা হল ৪৯৫ ফুট এবং পাঞ্চেতের ক্ষেত্রে ৪২৫ ফুট। এই পরিমাণে সর্বোচ্চ জল এই দুই জলাধারে ধরে রাখা যেতে পারে।


ডিভিআরআরসি বা দামোদর ভ্যালি রিভার রেগুলেটরি কমিশন সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার দামোদর ভ্যালি রিভার রেগুলেটারি কমিশনের কাছে গত মঙ্গলবার ও বুধবার আবেদন করেছিল কম পরিমাণ জল ছাড়ার জন্য। কেননা গত দুদিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছিলো আসানসোল দুর্গাপুর সহ গোটা রাজ্যে। সেটা মাথায় রেখেই তারা এই দুই জলাধার থেকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার কিউসেক জল কমিয়ে বুধবার ৪০ হাজার কিউসেক করে। দুই জলাধারের জলস্তর বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি তেনুঘাট ও তিলাইয়া এলাকায় বৃষ্টি হওয়ায় বৃহস্পতিবার প্রথমে মোট ৬৫ হাজার জল ছাড়া হয়। এরপর এই দিন বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে ৯৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়ে ডিভিসি।
সূত্র থেকে জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় ঝাড়খন্ড এলাকায় নতুন করে বৃষ্টি শুরু হয়েছে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *