DURGAPUR

জঙ্গলে তুলে নিয়ে এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেফতার ৪

বেঙ্গল মিরর, দূর্গাপুর, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ এক আদিবাসী কিশোরীকে জঙ্গলে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠলো। বৃহস্পতিবারে হওয়া এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ালো পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের কাঁকসার কুলডিহার সেলাই পাড়া তথা আদিবাসী পাড়ায়। এখানেই শেষ নয়, আরো অভিযোগ অভিযুক্ত চারজন নির্যাতিতার পরিবারকে হুমকি দেয়। বলা হয়েছে, এই ঘটনা নিয়ে যদি কাউকে কিছু বলা হয় তাহলে গ্রামছাড়া করে দেওয়া হবে। যদিও ঘটনার অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্ত করতে নেমে কাঁকসা থানার পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের মধ্যে একজন নাবালক আছে বলে জানা গেছে। শুক্রবার সকালে ধৃতদের মধ্যে তিনজনকে দূর্গাপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের জামিন নাকচ করে তিনদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। অন্যজনকে আসানসোল জেলা আদালতে জুভেনাইল কোর্টে পেশ করা হয়েছিলো।



ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ। জানা গেছে, ঐ আদিবাসী কিশোরী এক বান্ধবীকে নিয়ে বাড়ির সামনের জঙ্গলে কাঠ কুড়োতে গেছিলো। অভিযোগ, সেই সময় চার যুবক প্রথমে দুই কিশোরীকে জোর করে জঙ্গলের ভেতরের দিকে নিয়ে চলে যায়। কোনক্রমে এক কিশোরী দুষ্কৃতিদের কবল থেকে পালিয়ে আসে। কিন্তু এক কিশোরীকে তখন একা পেয়ে ঐ চার দুষ্কৃতি পাশবিক অত্যাচার শুরু করে। পালিয়ে আসা কিশোরীর বান্ধবীর কাছে সব জানতে পেরে পরিবারের লোকজন জঙ্গলে যায়। তাকে বিধ্বস্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন পরিবারের সদস্যরা। এরপর এ কিশোরীকে আশংকাজনক অবস্থায় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

খবর পেয়ে কাঁকসা থানার পুলিশ আসে মহকুমা হাসপাতালে। পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গোটা ঘটনায় উত্তেজনা ও চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে দুর্গাপুরের কাঁকসার কুলডিহা এলাকায়। নির্যাতিতার পরিবার ও এলাকার বাসিন্দারা অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবি করেছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত চারজন কাঁকসার কুলডিহা আদিবাসী পাড়ার বাসিন্দা। পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *