হিরাপুর থানা এলাকায় দুর্গাপূজা প্যান্ডেল পরিদর্শন, প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিলেন ডিসিপি
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দোপাধ্যায় : দুর্গোৎসবের সময় দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য পুলিশ প্রশাসনের দেওয়া নির্দেশ কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে। তা নিশ্চিত করার জন্য সোমবার আসানসোলে হিরাপুর থানা এলাকার দুর্গাপূজো প্যান্ডেলগুলি পুলিশের ডিসিপি ( পশ্চিম) অভিষেক মোদীর নেতৃত্বে পরিদর্শন করা হয়। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এই টিম কমিটি বা উদ্যোক্তারা পূজো প্যান্ডেলে সরকারী নির্দেশিকা ও নিয়ম মানা হচ্ছে কিনা তা পরীক্ষা করা হয়েছে। ডিসিপির ( পশ্চিম) সঙ্গে আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের এসিপি ( হিরাপুর) ঈপ্সিতা দত্ত, হিরাপুর থানার ওসি প্রসেনজিৎ রায় সহ অন্যান্য আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।




পরে ডিসিপি জানান, এদিন বিভিন্ন পূজো প্যান্ডেল পরিদর্শন করা হয়েছে। সবাই সরকারি নিয়ম মেনে পুজোর আয়োজন করছেন। উদ্যোক্তাদেরকপ প্যান্ডেল তৈরি করতে কঠোরভাবে নির্দেশ মেনে চলতে বলা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, পুলিশের তরফে প্রতিটি পূজা প্যান্ডেল পরিদর্শন করা হচ্ছে। সব সরকারি নিয়ম খতিয়ে দেখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সব পুজো কমিটিকে পরিবেশ বান্ধব উপকরণ থেকে পূজা প্যান্ডেল ও প্রতিমা তৈরির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরিবেশের ক্ষতি করে এমন কোনো সরঞ্জাম প্যান্ডেল বা প্রতিমা নির্মাণে ব্যবহার করা যাবে না। প্যান্ডেল ও প্রতিমার উচ্চতা নিয়েও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মূর্তির উচ্চতা ২০ ফুটের বেশি হবে না। মূর্তির স্ট্রাকচার বা কাঠামোর উচ্চতা ৪০ ফুটের বেশি করা যাবে না। প্যান্ডেলে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে । প্যান্ডেলে আলাদা করে ঢোকা ও বেরোনোর রাস্তা করতে হবে। সেই রাস্তা অবশ্যই যতটা বড় রাখা সম্ভব তা করতে হবে। প্রতিটি প্যান্ডেলে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের সঙ্গে আগুন নেভানোর প্রয়োজনীয় সব উপকরণ রাখতে হবে। এবারে আসানসোল দূর্গাপুর কমিশনারেট এলাকায় মোট ১১৪০ টি স্বীকৃত পুজো হচ্ছে ।