সিবিআই ও ইডির তদন্তের মধ্যেই শিল্পাঞ্চলে অবৈধ কয়লা কারবারে নয়া সিন্ডিকেট, অভিযোগ বিজেপির
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* আসানসোল রানিগঞ্জ কয়লাখনি এলাকায় বেআইনি কয়লা কারবার নিয়ে দুই কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআই ও ইডি তদন্ত করছে। দুই এজেন্সির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন অনেকেই। তাদের মধ্যে কেউ কেউ জামিন পেয়েছেন। বেশ কয়েকজন জেলে আছেন। তারই মধ্যে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল রানিগঞ্জ দূর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে ইসিএলের লিজহোল্ড এলাকায় অবৈধ কয়লা কারবারে তৈরী হয়েছে নয়া সিন্ডিকেট। বুধবার বিকেলে আসানসোলে ১৯ নং জাতীয় সড়ক লাগোয়া জেলা কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এমনই দাবি ও অভিযোগ করলেন বিজেপির জেলা সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় ও রাজ্য কমিটির সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়। এই সিন্ডিকেট কারা চালাচ্ছেন তাদের নামও দুই বিজেপি নেতা এদিন জানিয়েছেন। এদিন গোটা বিষয়টি জানিয়ে বিজেপির আসানসোল সাংগঠনিক জেলার তরফে একটি স্মারক লিপি দেওয়া হয়েছে ইসিএলের সিএমডি অম্বিকা প্রসাদ পান্ডেকে। তাতে বিজেপির জেলা সভাপতি এই কারবার বন্ধ করে ও সিন্ডিকেটকে নিষ্ক্রিয় করতে মুলতঃ তিনটি দাবি করেন।
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির জেলা সভাপতির অভিযোগ, নয়া এই সিন্ডিকেটের টাকা দিয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেস ভোট করাচ্ছে। সোজাসুজি বলতে গেলে, এই সিন্ডিকেটের টাকা বিজেপির বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই সিন্ডিকেট রয়েছে ধর্মেন্দ্র ( রানিগঞ্জ), লোকেশ ( দূর্গাপুর), রনধীর ( অন্ডাল) সহ সাতজন। তিনি আরো বলেন, এদিন আমরা ইসিএলের সিএমডির সঙ্গে দেখা করে এইসব নাম ও ইসিএলের বিভিন্ন এরিয়ার আধিকারিক, সিআইএসএফের কারা রয়েছে তা বলেছি। সিআইএসএফের কম্যান্ডান্ট ছুটিতে থাকায়, তার সঙ্গে আমরা দেখা করতে পারিনি। তিনি এলে, তাকে সব বলা হবে। আমরা এখানে বেআইনি কয়লার কারবার চলতে দেবোনা। ইতিমধ্যেই দলের রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের নির্দেশে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করা হয়েছে। আগামী দিনে তা আরো বৃহত্তর হবে। রাজ্য থেকে এই আন্দোলনের দায়িত্ব কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়কে দেওয়া হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, দলের তরফে এর আগে আসানসোল দূর্গাপুরের পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে এইসব তথ্য প্রমান দেওয়া হয়েছে। বেআইনি কয়লার কারবার বন্ধ করার দাবি জানানো হয়েছে। আমরা আর কিছু দিন দেখবো। যদি দেখি কিছু হয়নি, তাহলে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করা হবে। মানুষের কাছে গিয়ে সব বলবো। কিন্তু মানুষ দেশের সম্পদকে লুঠ করবে, তা আমরা চলতে দেবো না।
জেলা বিজেপি নেতৃত্বর এই অভিযোগ ও দাবিকে আমল দিতে চায়নি তৃনমুল কংগ্রেস। দলের রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক ভি শিবদাসন তরফে দাসু বলেন, অভিযোগ যে কেউ করতে পারে। প্রথম কথা হলো কয়লাখনি এলাকা কার? যার দায়িত্ব তারা কি করছে? সবকিছু তো রাজ্য সরকারের পুলিশ প্রশাসনের উপরে চাপিয়ে দেওয়া যায়না।
অন্যদিকে, জেলা বিজেপির অভিযোগ নিয়ে ইসিএলের সদর দপ্তরের সিএমডি অফিস ও আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে কোন মন্তব্য করা হয় নি।