কয়লা খনিতে আগুন লাগার ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ : কয়লা খনিতে আগুন লাগার ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য , জামুড়িয়ার সাত গ্রাম এরিয়ার সাত গ্রাম প্রজেক্টে। জানা গেছে কয়লা খনির প্রায় 800 ফুট গভীরে, খনিগহ্বরের সুরঙ্গের মধ্যে, পরিতক্ত কয়লা খনি স্তরে এই আগুন লাগার ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করে কয়লা খনির শ্রমিকেরা, পরে খনি আধিকারিকদের এই ঘটনার খবর দিলে, তড়িঘড়ি কয়লা খনির উচ্চ পদস্থ আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভাতে তৎপর হয়। এই মুহূর্তে ওই অংশে এখনো ধোঁয়া নির্গত হওয়ার বিষয়টি লক্ষ্য করে, সেই জায়গায় যাতে অক্সিজেন না পৌঁছতে পারে, তার জন্য স্টপিং এর ব্যবস্থা করতে কয়লা খরি চত্বরে জড়ো করা হয়েছে বালি, ইট সহ বিভিন্ন সামগ্রী। এই মুহূর্তে কয়লা খনির অভ্যন্তরে শুধুমাত্র অগ্নি নির্বাপক কর্মী ও রেসকিউট টিম পৌঁছে, কয়লা খনির আগুন যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ট্রেড ইউনিয়নের নেতা ও শ্রমিকেরা অল্প একটু তথ্য দিলেও কয়লা খনির আধিকারিকেরা তবে কোন উত্তর দিতে চাইনি। উল্লেখ্য এর আগে, এরূপভাবে কয়লা খনির অভ্যন্তরে আগুন লাগার ঘটনা লক্ষ্য করা গেছিল কুনুস্তরিয়া এরিয়ার, কুনুস্তরিয়া কোলিয়ারির খনিগহ্বরে, সে সময় কয়লা খনির অভ্যন্তরে এতই ভয়াবহ আগুন লাগে যে দীর্ঘ কয়েকটা বছর সেই কয়লা খনিকে বন্ধ করে রাখতে হয়। যদিও সে সময় কয়লা খনি বাঁচাতে তরল নাইট্রোজেন স্প্রে করে কয়লা খনিকে বাঁচাতে তৎপর হয় খনি কর্তৃপক্ষ। তবে এক্ষেত্রে আগুনের ভয়াবহতা ততটা নয় বলেই মৌখিকভাবে জানিয়েছেন খনি আধিকারিক, তবে ক্যামেরার সামনে তিনি কিছুই জানাতে চাননি। তাই কি পরিস্থিতিতে রয়েছে কয়লা খনি তা নিয়ে এখন সন্ধিহান সকলে। কয়লা খনির শ্রমিকেরা জানিয়েছেন খুনি গহবরের ৮০০ ফুট গভীরে আট নাম্বার লেভেলের ৫ নম্বর ডিপে এই ধোঁয়া বের হওয়ার বিষয়টি লক্ষ্য করা গেছে। যার উখতে জোড় তৎপর ইসিএল কর্তৃপক্ষ।