ASANSOL

আসানসোল শহরকে যানজট মুক্ত করতে পুরনিগমের পদক্ষেপ, মন্ত্রী ও মেয়রের কোন্দল টেনে কটাক্ষ

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ আসানসোল শহরের অন্যতম ব্যস্ততম রাস্তা হটন রোডকে যানজট মুক্ত করতে একটি পরিকল্পনা নিয়েছে আসানসোল পুরনিগম কতৃপক্ষ। তারজন্য আসানসোল পুরনিগমের তরফে মাইকিং করে বলা হচ্ছে, জিটি রোডের সংযোগকারী হটন রোড মোড় থেকে এসবি গরাই রোডের ইসমাইল মোড় পর্যন্ত হটন রোডে রাস্তার দুপাশের অবৈধ দোকানদারেরা যেন আগামী ১৩ ডিসেম্বরের মধ্যে সরে যায়। আসানসোল পুরনিগমের তরফে জানানো হয়, যদি ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দোকানদারেরা না সরেন, তাহলে ১৪ ডিসেম্বর থেকে পুর কতৃপক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সত্যি কি, তাদের দেওয়া চরম সীমার মধ্যে দোকানদারেরা সরে না গেলে আসানসোল পুরনিগম আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে? নানা মহলে এই প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে।



এই বিষয়ে শুক্রবার আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি ব্যঙ্গাত্মকভাবে বলেন, আসলে এটি মেয়র বিধান উপাধ্যায় ও রাজ্যের আইন ও শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটকের মধ্যেকার কোন্দলের বিষয়। তিনি একটি তথ্য দিয়ে বলেন, মন্ত্রী মলয় ঘটক সম্প্রতি বারাবনি বিধানসভা কেন্দ্রে বিধান উপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ না করেই জেলা পরিষদের একটি রাস্তার উদ্বোধন করেছেন। যেখানে আসানসোলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহাও উপস্থিত ছিলেন। এর পাল্টা হিসাবে মেয়র বিধান উপাধ্যায় এই কাজটি করছেন। হটন রোডকে যানজট মুক্ত করতে, বেআইনি দখলদারদের সরে যেতে এভাবে মাইকিং করা হচ্ছে। কারণ মেয়র মনে করেন, এই এলাকায় মলয় ঘটকের ভোটব্যাংক রয়েছে। সেক্ষেত্রে তার ভোটব্যাংকের ক্ষতির কারণ হতে পারে আসানসোল পুরনিগমের এই পদক্ষেপ। তার আরো দাবি , এসবই শাসক দলের দুই নেতার পারস্পরিক খারাপ সম্পর্ক ও কোন্দলের জেরে হচ্ছে।


জিতেন্দ্র তেওয়ারির এই দাবি নিয়ে মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, আমার ও মন্ত্রী মলয় ঘটকের মধ্যে কোন কোন্দল নেই। আমি মেয়র হিসাবে আসানসোল পুরনিগমের জন্য কাজ করি। আর মন্ত্রী রাজ্যের। তার কাজ করার পরিসর আলাদা। জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে তার কটাক্ষ, তিনি যেমন ভাবছেন, তার মনেও একই অনুভূতি রয়েছে। তিনি তার দৃষ্টিকোণ থেকে সবকিছু দেখেন। সেটা তার ব্যাপার। মেয়র বলেন, যে মাইকিং হচ্ছে, তা শহরকে যানজট মুক্ত করার জন্য। আমাদের তো আসানসোল বাজারের ফুটপাত নিয়েও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে। তা করতে লাগবে প্রায় ৪ কোটি টাকার মতো। সেই টাকার ব্যবস্থা হয়ে গেলেই, পরিকল্পনা মতো কাজ শুরু করা হবে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায় শহরের বেশ কিছু এলাকা পরিদর্শন। তার সঙ্গে পুর চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় ও পুর ইঞ্জিনিয়াররা ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *