ASANSOL

কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় আইনি খাতে লক্ষ-লক্ষ টাকা খরচ করচ্ছে অভিযোগ

অনুমোদন নিয়ে করা হচ্ছে খরচ,গত ছমাসে পরিকাঠামগত অনেক উন্নয়ন করেছি: উপাচার্য

বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল : এডুকেশন ফোরাম এর পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার এক প্রেস বিবৃতি দিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে রাজ্যপালের জন্য আইনি খাতে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করা হচ্ছে। এই খরচের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ফাইন্যান্স কমিটি অথবা এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের অনুমোদন নেয়া হয়নি। এই সংগঠনের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ইতিমধ্যেই ১৬ ই মে থেকে ১৩ই ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩০ লক্ষ ৪৬ হাজার ৯৬৫ টাকা খরচ করা হয়েছে শুধুমাত্র এই আইনের লড়াইয়ের বিল মেটাতে। এই টাকার অংক বেড়ে আরো বেশি হবে ভবিষ্যতে বলে তারা জানান। এই কারণে পুরো বিষয়টি তারা এন্টি করাপশন ব্যুরোকে দিয়ে তদন্তের দাবি করেছেন।


এই বিষয় কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন মনে রাখতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনও কেস করেননি। অন্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে কেস করেছিল। স্বাভাবিকভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে আইনি লড়াই লড়তে হয়েছে। আমার আসার আগে এখানে বেশ কিছু অনৈতিক কাজকর্ম চলছিল। যার ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি কেসে আমরা জিতেছি। এখনো কয়েকটি কেস চলছে। তিনি বলেন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমরা সংশ্লিষ্ট জায়গা থেকে অনুমোদন নিয়েছি। জোর করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে যদি কেউ কেস করে কোন বিষয় নিয়ে তাহলে যদি ভালো আইনজীবী না দিতে পারি সে ক্ষেত্রে তো বিশ্ববিদ্যালয় হেরে যাবে ।আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে গত ছমাসে পরিকাঠামগত অনেক উন্নয়ন করেছি। তাতে ছাত্র-ছাত্রীদের একাধিক ক্ষেত্রে খরচ কমেছে, পড়ার ক্ষেত্রে সুবিধা বেড়েছে। সর্বোপরি আমাদের বেশ কিছু কর্মীরা যারা তাদের নামে বিশ্ববিদ্যালয় যে টাকা বরাদ্দ হতো তা তাদের হাত পর্যন্ত পৌঁছতো না। অন্য সংস্থা তা ভোগ করতো। সেটাও বন্ধ হয়ে গেছে। কর্মীরা এতে খুশি ।


পরিকাঠামোকে উপেক্ষা করে এই আইনের ব্যাপক খরচ করা কতটা ঠিক? সেই প্রসঙ্গে তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন পরিকাঠামগত উন্নয়নের ছোটখাটো কয়েকটি উদাহরণ আমি দিচ্ছি ।যেমন গরমের দিনে পড়ুয়াদের জন্য কোনও ফ্লোরে ঠান্ডা জলের ব্যবস্থা ছিল না সেটা করে দেওয়া হয়েছে। কেমিস্ট্রির ল্যাবে বুনসেন বার্নার জলার ব্যবস্থা ছিল না। এইরকম ছোট কাজটাও তখন হয়নি যা এখন হয়েছে। প্রয়োজনীয় কেমিকাল ল্যাবে ছাত্রছাত্রীরা পাচ্ছে। ছাত্র-ছাত্রীদের বসার জন্য চেয়ার টেবিলের অনেক সংখ্যা কম ছিল ,সেটা করা হয়েছে। পরীক্ষাগারের প্রয়োজনে যে বিদেশি ইঁদুর, খরগোশ এসব ব্যবহার করা হয় তাদের রাখার জন্য কোনও অ্যানিমেল হাউস ছিল না। নিয়ম মেনে এনিম্যাল হাউস তৈরি করে দিয়েছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে প্রচুর অন্ধকার থাকতেও আলোর ব্যবস্থা ছিল না সেভাবে তাও করে দেয়া হয়েছে। যারা এই সব অভিযোগ করছেন তারা আগের পরিকাঠামো আর গত ছমাসের পরিকাঠামো মিলিয়ে দেখতে পারেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার চন্দন কোনার বলেন নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয় আইনগত খরচের জন্য আলাদা করে বাজেটে বরাদ্দ করাই থাকে এবং তা অবশ্যই নিয়ম অনুযায়ী যেখান থেকে অনুমতি নেয়া তা নেয়া হয়। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে তার নেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *