ASANSOL

ইন্ডিয়া পাওয়ারের উদ্যোগ আসানসোলে শুরু চারদিনের পঞ্চম বর্ষ রাঢ় বাংলা কারিগরি মেলা

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ ইন্ডিয়া পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেড বা আইপিসিএল আসানসোল – রানিগঞ্জ এলাকায় একটি অন্যতম লিডিং পাওয়ার বা বিদ্যুৎ সরবরাহকারী বেসরকারি সংস্থা। সেই সংস্থা তাদের সিএসআর বা সোশাল কর্পোরেট রেসপনসেবলিটি প্রোগ্রামে আসানসোলে ” ইন্ডিয়া পাওয়ার পঞ্চম বর্ষ রাঢ় বাংলা কারিগরি মেলার আয়োজন করেছে। এই ফেয়ার কাম প্রদর্শনীর লক্ষ্য হল বাংলার ঐতিহ্যের প্রচার ও এই দ্রুত গতির বিশ্বে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া শিল্পকলার পুনরুজ্জীবন ঘটানো।

এই বছরের কারিগরি মেলা ১২ জানুয়ারি শুক্রবার থেকে শুরু হয়ে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। সকাল সাড়ে এগারোটা থেকে প্রতিদিন আসানসোলের সৃষ্টিনগরের সেন্ট্রাম মলে এই মেলা শুরু হয়ে রাত পর্যন্ত চলবে।এই কারিগরি মেলায় টেরাকোটা বা পোড়ামাটি, কাঁথা, পটচিত্র, ডোকরা, বাংলা তাঁত সহ বাংলার আরো অনেক শিল্পকলার সম্ভার থাকছে। এছাড়াও মেলায় বাউল, কবি গানের লড়ায়ের মতো লোক সংস্কৃতিও পরিবেশন করা হবে। শুক্রবার বিকেলে এক অনুষ্ঠানে প্রদীপ জ্বালিয়ে এইমেলার উদ্বোধন করেন রাজ্যের আইন ও শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক। মন্ত্রী এই ধরনের মেলার আয়োজন করার জন্য ইন্ডিয়া পাওয়ারের প্রশংসা করেন।

তিনি উদ্যোক্তাদের এই মলের পরিবর্তে শহরের অন্য কোন জায়গায় করার পরামর্শ দেন। যাতে আরো বেশি করে সাধারণ মানুষের অংশ গ্রহণ হতে পারে। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ছিলেন আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশনের সেক্রেটারি স্বামী সৌমাত্বানন্দজী মহারাজ, আসানসোল পুরনিগমের বোরো চেয়ারম্যান অনিমেষ ওরফে অনির্বাণ দাস, ইন্ডিয়া পাওয়ারের হোল টাইম ডিরেক্টর সোমেশ দাশগুপ্ত, আইপিসিএল, ভিপি অমিত প্রকাশ ও জিএম পার্থ চট্টরাজ। এই উদ্যোগ সম্পর্কে সোমেশ দাশগুপ্ত বলেন, “আমাদের কোম্পানির ট্যাগলাইন হচ্ছে জীবনকে পাওয়ার দেওয়া। যার অর্থ হল বিদ্যুত সরবরাহ ছাড়াও আমরা জনগণকে, বিশেষ করে সুযোগ সুবিধাবঞ্চিতদের ক্ষমতায়নের উদ্যোগ নিই। এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা হারিয়ে যাওয়া শিল্প ও শিল্পকলাকে একটি প্ল্যাটফর্ম দিতে চাই। এই মেলা শুধু কারিগরদের জীবিকা অর্জনের জন্য একটি প্ল্যাটফর্মই দেয় না বরং বাংলার সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতিকেও প্রচার করে।

News Editor

Mr. Chandan | Senior News Editor Profile Mr. Chandan is a highly respected and seasoned Senior News Editor who brings over two decades (20+ years) of distinguished experience in the print media industry to the Bengal Mirror team. His extensive expertise is instrumental in upholding our commitment to quality, accuracy, and the #ThinkPositive journalistic standard.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *