বিয়ের দিন থেকে নিখোঁজ ইসিএলের কর্মীর দেহ পরিত্যক্ত কুয়ো থেকে উদ্ধার
বেঙ্গল মিরর, বারাবনি ও আসানসোল, মনোজ শর্মা, কাজল মিত্র ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ আসানসোলের বারাবনি থানার জামগ্রামে ইসিএলের পরিত্যক্ত কুয়ো থেকে রবিবার উদ্ধার হলো নিখোঁজ এক ইসিএল কর্মীর পচাগলা মৃতদেহ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। গত ২২ জানুয়ারি ভোরবেলা থেকে নিখোঁজ ছিলো আসানসোলের কাল্লার ইসিএলের সেন্ট্রাল হাসপাতালের কর্মী ২৫ বছরের সৈকত দাস। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এটি আত্মহত্যা না খুন, তা এখনো পরিষ্কার নয়। সোমবার আসানসোল জেলা হাসপাতালে যুবকের মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হবে। তারপরই জানা যাবে, ঠিক কি কারণে বা কিভাবে যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার সৈকত দাসের বাবা স্বপন দাস জানান, গত ২২ জানুয়ারি ছেলের বিয়ে ছিল। সেদিন ভোর চারটে নাগাদ দুটো ছেলের সাথে বেরিয়ে যায়। তারপর থেকে তার কোন খোঁজ পাওয়া যায় নি। গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে বারাবনি থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়েছিল। চারিদিকে খোঁজাখুঁজিও চলছিল। তারই মধ্যে রবিবার সকালের দিকে বারাবনি থানার জামগ্রামে স্থানীয় পরিত্যক্ত কূয়ো থেকে দুর্গন্ধ বার হতে থাকে। খবর পেয়ে দমকলের ইঞ্জিন নিয়ে এলাকায় আসে বারাবনি থানার পুলিশ। দুপুর নাগাদ কুয়ো থেকে উদ্ধার হয় এক যুবকের মৃতদেহ। পরে সেই দেহ স্বপন দাস ছেলের বলে সনাক্ত করেন।
তিনি এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে মানতে চাননি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ২২ জানুয়ারি সকাল ১১ টার সময় ছেলের মোবাইলে ফোন করলে রিং হয়। তার জিজ্ঞাসা ছেলে আত্মঘাতী হলে মোবাইল তার সাথে কুয়োতে থাকার কথা। অথচ সেই সময় তার মোবাইলে টাওয়ার দেখাচ্ছিলো দাসকেয়ারি গ্রামে। তিনি সরাসরি খুনের অভিযোগ করেন।
বারাবনি থানার পুলিশ জানায়, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।