ASANSOL

আসানসোলের হোটেলের রুম থেকে যুবকের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার খুন, না আত্মহত্যা, তদন্তে পুলিশ

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : আসানসোল শহরের জিটি রোডের একটি রুম থেকে গুলিবিদ্ধ এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হলো। মঙ্গলবার বিকেলে তিনটে নাগাদ আসানসোল দক্ষিণ থানার অন্তর্গত কুমারপুরে মনোজ সিনেমা হল সংলগ্ন ঐ হোটেলের রুম থেকে ঐ যুবকের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ পাওয়া গেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয় হোটেলের ৩০৬ নং রুম থেকে। মৃতদেহ উদ্ধারের সময় রুমটি বন্ধ ছিলো। হোটেল কতৃপক্ষের কাছ থেকে খবর পেয়ে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ ঐ হোটেলে আসে বিকেল তিনটে নাগাদ। এরপর ঐ রুমের দরজা ভাঙা হয়।


এই ঘটনা খুন নাকি আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দিন দুপুরে আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট অফিসে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে হোটেল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
আসানসোলের কুলটি থানার নিয়ামতপুরের চক্রবর্তী পাড়ার বাসিন্দা মৃত যুবকের নাম রোহন প্রসাদ রাম ( ২১)। ঘটনার খবর পেয়ে এআইএমএআইএমের (মিম) জেলা সভাপতি দানিশ আজিজ বেশ কয়েকজন কর্মীকে নিয়ে ঐ হোটেলে আসেন। তার নেতৃত্বে হোটেলের সামনে মিমের কর্মীরা জিটি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।


জানা গেছে, নিয়ামতপুরের বাসিন্দা প্রথম বর্ষের কলেজ পড়ুয়া রোহন প্রসাদ রাম সোমবার সকালের দিকে আসানসোল শহরের জিটি রোডের কুমারপুরের ঐ হোটেলের ৩০৬ নং রুম বুকিং করে। পুলিশ ও হোটেল সূত্রে জানা গেছে, রোহনের সঙ্গে একটি মেয়ে হোটেলে এসেছিল। ঐ মেয়েটি কলেজ পড়ুয়া বলে জানা গেছ। সোমবার রাত নটা মেয়েটি হোটেলের রুম থেকে বেরিয়ে যায়। তারপর থেকে রোহন রুমে একাই ছিল। এদিন সকালে ঐ রুম থেকে রোহন রুম থেকে বেরোয়নি। হোটেল রুম চেক আউট সময়ের পরেও রোহন বেরোয়নি। স্বাভাবিক ভাবেই হোটেল কতৃপক্ষের সন্দেহ হয়। এরপর আসানসোল দক্ষিণ থানায় খবর দেওয়া হয়, পুলিশ আসে। এরপর দরজা ভেঙে পুলিশ ভেতরে ঢুকে দেখে ঐ যুবক রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। কপালের ঠিক মাঝখানে ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে ঐ হোটেলে পৌঁছান আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিডি বা গোয়েন্দা দপ্তরের আধিকারিকরাও।


প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানায়, গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবকের মৃত্যু হয়েছে। হোটেলের রুম থেকে একটি পাইপগানও উদ্ধার করা হয়েছে।
এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, কপালে গুলি লাগাতেই ঐ যুবকের মৃত্যু হয়েছে। যুবকের সঙ্গে আসা মেয়েটিকে সনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, ঐ যুবক আত্মঘাতী হয়েছেন। তবুও তদন্ত শুরু করে ঠিক কি ঘটনা তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *