ASANSOL

আসানসোলে জাতীয় সড়ক ও জিটি রোডে দুটি পৃথক পথ দূর্ঘটনা, মৃত ১, আহত ৩

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল,  রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ আসানসোলে ১৯ নং জাতীয় সড়ক ও জিটি রোডে দুটি পৃথক পথ দূর্ঘটনা ঘটলো। দুটি ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন তিনজন।  সোমবার বিকেল সাড়ে তিন নাগাদ  প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোল উত্তর থানার শীতলা মোড়ের কাছে ১৯ নং জাতীয় সড়কে। দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছে বিকেল চারটে নাগাদ আসানসোল দক্ষিণ থানার জিটি রোডের কুমারপুরে মনোজ সিনেমা হলের কাছে। ১৯ নং জাতীয় সড়কের ঘটনায় ছোট একটি চারচাকা গাড়িতে থাকা এক শিশু সহ তিনজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। জিটি রোডের ঘটনায় ঢালাই ( মিক্সিং) মেশিনের গাড়িতে পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। আসানসোল দক্ষিণ থানার কুমারপুরে টিলাবাঁধের বাসিন্দা মৃত ব্যক্তির নাম সুরজ দাস (৩৫)।


পুলিশ ও এলাকার বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, এদিন বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ একটি ছোট চারচাকা গাড়ি ধানবাদের দিক থেকে দূর্গাপুরের দিকে যাচ্ছিলো। আসানসোল উত্তর থানার শীতলা মোড়ের কাছে ঐ গাড়ির সামনের একটি চাকার ফেটে যায়। গাড়ির স্পিড থাকায় চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এরপর গাড়িটি উঁচু ডিভাইডার ভেঙে ধানবাদ – দূর্গাপুর লেন থেকে পাশে দূর্গাপুর – ধানবাদ লেনে চলে যায়। সেই সময় ঐ লেন দিয়ে একটি ১৬ চাকার ট্রাক ধানবাদের দিকে যাচ্ছিলো। ছোট চারচাকা গাড়িটি সজোরে ঐ ট্রাকে সামনে ধাক্কা মারে। আশপাশের লোকেরা দৌড়ে আসার আগেই চারচাকা গাড়ির চালক পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে আসানসোল উত্তর থানা ট্রাফিক গার্ড পুলিশ এলাকায় আসে। এরপর ঐ গাড়ির ভেতর থেকে এক শিশু ও এক দম্পতি উদ্ধার করা হয়। তিনজনই আহত হন। তাদেরকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।    

পুলিশ জানায়, ছোট চারচাকা গাড়ির চাকা ফেটে যাওয়ায় এই ঘটনাটি ঘটেছে ।  
    অন্যদিকে, এদিন বিকেল চারটে নাগাদ আসানসোলের জিটি রোডের কুমারপুরে মনোজ সিনেমা হলের কাছে রাস্তার পাশে শুয়ে থাকা সুরজ দাসকে পিষে দেয় একটি ঢালাই মেশিন গাড়ি। গাড়ির চাকায় ঐ ব্যক্তি জড়িয়ে যায়। তাতে গাড়িটি বেশ কিছুটা টেনে নিয়ে যায়। এলাকার বাসিন্দারা দৌড়ে আসেন। সেই সুযোগে গাড়ির চালক পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে আসানসোল দক্ষিণ থানা ট্রাফিক গার্ড পুলিশ এলাকায় আসে। বেশ কিছুক্ষনের চেষ্টায় ঐ ব্যক্তিকে চাকা থেকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন।


জানা গেছে, সুরজ দাসের গত তিনমাস ধরে মানসিক সমস্যা দেওয়ায় বাড়ির লোকেরা তার চিকিৎসা করাচ্ছিলেন। সুরজ সারাদিন মনোজ সিনেমা হলের কাছে থাকতো। বাড়ি তেমন ভাবে যেতোনা।
পুলিশ জানায়, এই ব্যক্তি জিটি রোডের রাস্তার পাশে চাদর চাপা দিয়ে শুয়েছিলো। তখন কোনভাবে ঐ চাদর ঢালাই মেশিন গাড়ির চাকায় জড়িয়ে যায়। এরপর ঐ গাড়ি ব্যক্তিকে বেশ কিছুটা টেনে নিয়ে যায়। পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঐ ব্যক্তির বাড়ির লোকেরা আসেন।
দুটি ঘটনার জেরে দুই জায়গায় বেশ কিছুক্ষনের জন্য গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

Leave a Reply