BARABANI-SALANPUR-CHITTARANJAN

এমএসপি ল কারখানার গেটের সামনে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

বেঙ্গল মিরর, কাজল মিত্র :- সালানপুর ব্লকের দেন্দুয়া অঞ্চলে অবস্থিত মাইথন স্টিল এন্ড পাওয়ার লিমিটেড বেসরকারি কারখানার গেট বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাল কর্মরত শতাধিক ঠিকা শ্রমিক।তাদের দাবি কারখানা কর্তৃপক্ষ ঠিকা শ্রমিকদের শোষণ করে চলেছে । তাদের ৮ ঘন্টার বদলে ১২ ঘন্টা কাজ করানো হচ্ছে।আর সেই কাজের ন্যায্য মূল্য তাদের দেওয়া হচ্ছে না।তাছাড়া কারখানার স্থায়ী শ্রমিকের মত ঠিকা শ্রমিকদের সমস্তরকম সুবিধা ধার্য্য করতে হবে।

তারা জানান ব্রিটিশ আমলের মত এই কারখানা কর্তৃপক্ষ শোষণ করে।এমনকি কোনো শ্রমিক মোবাইল ফোন ভুলে যদি কাজে নিয়ে আসে সেই শ্রমিকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয় গেটে এবং বেতন থেকে ১ হাজার কেটে নেওয়া হয়।তাছাড়া ২দিন কাজে না আসতে না পারলে সেই শ্রমিকে কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়।এবং পিএফ ও গ্রাজুইটি কোন ঠিকা শ্রমিকে দেওয়া হয়না।তাছাড়া এই কারখানায় স্থানীয় শ্রমিক নিয়োগ করতে হবে।মাত্র ১৫ শতাংশ শ্রমিক রয়েছে স্থানীয় বাকি শ্রমিক বহিরাগত।এই সব দাবি নিয়ে আজ বিক্ষোভ করে অস্থায়ী শ্রমিকরা।তারা জানান যতক্ষণ তাদের সমস্ত দাবি মানা না হচ্ছে তাদের আন্দোলন চলবে।

এই প্রসঙ্গে কারখানা কর্তৃপক্ষ জানান স্থানীয় মানুষের দ্বারাই এই কারখানা চালোনা হয়।এবং শ্রমিকদের ১২ঘন্টার কাজের ব্যাপারটা শ্রমিক ইউনিয়নরা জানে।সবার সঙ্গে বসে এই সময়সীমা নির্ধারিত করা হয়েছিলো।তাছাড়া কারখানা কর্তৃপক্ষ জানান প্রতি বারের মতই আজকেও বিক্ষোভের মধ্যে সালানপুর ও সবনপুর এই দুই গ্রামের মানুষ এসে ঝামেলা সৃষ্টি করে।এবং সিকিউরিটি গার্ড ও এক আধিকারিককে মারধর করে।তাছাড়া বাকি শ্রমিকদের মারধর করার ভয় দেখানো হয়।এই নিয়ে লিখিত অভিযোগ করা হয় সালানপুর থানায়।তবে তারা আরো জানান প্রশাসন তাদের সহযোগিতা করেনি।এমন ভাবে চললে কারখানা চালাতে অসুবিধা রয়েছে।

বিক্ষোভের খবর পেয়ে কারখানা গেটের সামনে আসেন সালানপুর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি মনোজ তেওয়ারী ও ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি ভোলা সিং এবং স্থানীয় নেতৃত্বরা।তারা বিক্ষোভকারী শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে তাদের অসুবিধার কথাগুলি জানেন।এবং কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানের জন্য আবেদন করেন।এই প্রসঙ্গে শ্রমিক নেতা মনোজ তেওয়ারী জানান শ্রমিকদের ১৪টি দাবি নিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।আগামী ৭দিনের মধ্যে আলোচনা করে সমাধান করা হবে।যদি না সমাধান হয় তবে বিধায়কের নির্দেশে নিয়ে বৃহত্তম আন্দোলন করা হবে।এবং কর্তৃপক্ষের মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।তিনি বলেন বিক্ষোভ হয়েছে তবে কারো গায়ে হাত দেওয়া হয়নি।এই ধরনের ঘটনাকে আমরা সমর্থন করি না।আমাদের শ্রমিকরা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *