DURGAPUR

রামনবমীর সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে আক্রমণাত্মক দিলীপ ঘোষ, জেল যাওয়া নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ

বেঙ্গল মিরর, দূর্গাপুর, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ*  বাংলায় সরকার রাজ্য চালায় না। তা চালায় আদালত বা কোর্ট । তাই তো এখানে সমস্ত কিছুর ফয়সালা আদালতের সিদ্ধান্তে হচ্ছে । রাজ্যে সভা সমিতি হবে কিনা , শোভাযাত্রা হবে কিনা , ছুটি হবে কিনা , এসবই আদালতের নির্দেশে বা সিদ্ধান্তে হচ্ছে। এমনকি রাজ্যে যে সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে, সেটারও তদন্ত আদালতই করছে। এই রাজ্যেকে ( বাংলা) দেশের বাইরে বলে মনে করা হয় । “জয় বাংলা” বলছে। বাংলাদেশের স্লোগান দিচ্ছে। বলছে আদালত মানবো না , লোকসভা মানবো না। দেখে মনে হচ্ছে, “ভারতের বাইরে একটা দেশ”।

বুধবার রামনবমীর সকালে ইস্পাত নগরী দূর্গাপুরে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে এভাবেই রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করলেন দূর্গাপুর বর্ধমানের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। এবারের রামনবমী তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করেন বিজেপির এই দাপুটে নেতা। তার দাবি, ৫০০ বছরের লড়াইয়ের শেষে গত ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়েছে। তারপর এই রামনবমী। সেই কারণে এই রামনবমী গুরুত্ব রয়েছেন।


সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরো বলেন, শুধু মাত্র বিরোধী দলের নেতাদের চপার বা গাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। তা ঠিক নয়। সবার গাড়িতেই তল্লাশি করা হবে । ডায়মন্ডহারবারে এত দেরী করে কেন দলের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হল। এই প্রশ্নের তিনি বলেন, ঐ কেন্দ্রে ১ জুন ভোট। সেই হিসাবে এখন দেড় মাস সময় আছে।  ভুমিপুত্রর পাশাপাশি যিনি ওখানে সংগঠন দাঁড় করিয়েছেন, তাকে দল ঠিক সময়ে প্রার্থী করেছে। কে, কোথায় প্রার্থী হবে, তা দল ঠিক করে। আর তা যথা সময়ে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয় । শুভেন্দু অধিকারী বা মিঠুন চক্রবর্তী সেখানে প্রার্থী হন নি ভয়ে। এর উত্তরে দিলীপ ঘোষ নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বলেন, কে ঠিক করবে কে প্রার্থী হবে ? রাস্তার লোক ঠিক করবে ? উনি ঠিক করবেন নাকি, দল ঠিক করবে। দল যেটা ঠিক করবে সেটাই হবে।  দলের একটা নিয়ম আছে।


নির্বাচন কমিশন বিজেপির হাতের পুতুল বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য,  আমি মেসো বলেছিলাম বলে ওদের গায়ে লেগেছিল । হাতের পুতুল বলায় ভাল লাগছে । কে কার পুতুল বোঝা যাবে। সে সেই পুতুলের কাছে গিয়ের হত্যে দিয়ে পড়ছেন কেন? সকাল থেকে গালাগাল দেন রাজ্যপালকে। আর প্যাঁচে পড়লে রাজ্যপালের কাছে দৌড়ে যান। ” চাচা আপন প্রাণ বাঁচা  ” বলে। আসল কথা হলো এরা হচ্ছে শক্তের ভক্ত নরমের যম । যে টাইট দেবে তার কাছে গড়াগড়ি দেবে”।


রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, মমত্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেল হবে। তবে তা দেরি হবে।  জেলটা ওনার বৃদ্ধাশ্রম হবে । ওখানে বাকি জীবনটা কাটাতে হবে। নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীকে তা কটাক্ষ, কি ছিঁড়বেন আপনি? কিছুই ছিঁড়তে পারবেন না । জিভ ছিঁড়বেন ? সে সময় চলে গিয়েছে । মানুষ এবার ঝাঁটা জুতো নিয়ে তাড়া করবে। এরপরেই তিনি নিজের স্টাইলে বলেন , ৪৫ বছর রাজনীতি করার পরে “চোর” স্লোগান শুনতে হচ্ছে। এর চেয়ে লজ্জার কি আছে। সন্ন্যাস নিয়ে নেওয়া উচিৎ ।
দিলীপ ঘোষ সকালে দুর্গাপুরে প্রাতঃভ্রমণ করার পাশাপাশি বেলার দিকে রামনবমীর মিছিলেও অংশ নেন।
তবে এদিনের তার বক্তব্য ও কথায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমুল কংগ্রেসের বিরোধিতা ছাড়া অন্য কিছু শোনা যায় নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *