ASANSOL

আসানসোলে বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে রোডশো মিঠুন চক্রবর্তীর

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ রবিবাসরীয় প্রচারে আসানসোলে বিজেপির ন্যাশানাল এক্সিকিউটিভ সদস্য বর্ষীয়ান অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। এদিন সকাল সাড়ে এগারোটা থেকে মহাগুরুর আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী এসএস আলুওয়ালিয়ার সমর্থনে এসবি গরাই রোডের বুধা ময়দান থেকে মিঠুন চক্রবর্তী রোডশো শুরু হয়। এই রোডশোতে মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে ছিলেন এসএস আলুওয়ালিয়া, রাজ্য কমিটির সদস্য কৃষনেন্দু মুখোপাধ্যায়, জেলা সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়, জেলা সম্পাদক অভিজিৎ রায়, প্রশান্ত চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা। এই রোডশো এসবি গরাই রোডের ইসমাইল মোড়, আসানসোল জেলা হাসপাতাল মোড় থেকে দুপুর দেড়টা নাগাদ মহিশীলা কলোনির বটতলা বাজারে এসে শেষ হয়। তার এই রোডশোকে ঘিরে গোটা রাস্তায় সাধারণ মানুষের উচ্ছ্বাস ছিলো চোখে পড়ার মতো।


প্রায় ঘন্টা দুয়েক রোডশোর পরে মিঠুন চক্রবর্তীর কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিল সন্দেশখালি নিয়ে শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কুলটিত যা বলেছেন তা নিয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কি? তার উত্তরে তিনি বলেন, এটা একটা টেকনিক । তুমি আমার ঘাড়ে চাপাবে। আমি তোমার ঘাড়ে চাপাবো। পালাবার কোন রাস্তা নেই। এটা একটা জোক। আর আমাদের সিবিআইয়ের এইরকম দরকার হয় না। আর তাই যদি হয়, তাহলে সন্দেশখালিতে রাখতে যাবে কেন? অন্য কোন জায়গায় রাখতে পারতাম। আলাদা একটা খবর হতো।


আসানসোলে এতো গরমের মধ্যে রোড শো করার পর কি বলবেন? এর উত্তরে তিনি বলেন এত মানুষের উচ্ছ্বাস দেখে বুঝতে পারছেন তো তারা কি চান। তাদের উচ্ছাস, পজিটিভ বাইটস্। উৎসাহ দারুণ। আর আমাদের প্রার্থী সিজন্ পলিটিশিয়ান। একাধিক বারের এমপি। আমার মনে হয়, এখানকার মানুষেরা এই প্রার্থীকেই ভোট দেবেন।
এদিকে, মিঠুনের রোডশোয়ের একেবারে শেষে মহিশীলা কলোনির বটতলা বাজার এলাকা বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তৈরি হয়।


মিঠুন চক্রবর্তী বটতলা বাজারের একটু আগে হুড খোলা গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। তিনি সামান্য কিছুটা হেঁটে যে সব মহিলা ঢাক বাজাচ্ছিলেন তাদেরকে সম্মানিত করে গাড়িতে উঠে পড়েন। সেই গাড়ি সোজা চলে যায় আসানসোলের জিটি রোডের উষাগ্রামের একটি হোটেলে। এরপর হঠাৎ করেই বটতলা বাজারে বিজেপি কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। তারা নিজেদের মধ্যে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। শুরু হয় হট্টগোলে। তার মধ্যেও একে অপরকে ধাক্কা মারেন বলে অভিযোগ। তাদের দাবি দুই ঘণ্টা ধরে মিঠুন চক্রবর্তীর অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু মিঠুন চক্রবর্তী পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গে দেখা না করে গাড়িতে বসে চলে যান। এই খবর পেয়ে বিজেপি নেতারা তাদেরকে শান্ত করেন। নেতারা বলেন, সবাই মহাগুরুকে দেখতে চান। তাই এটা হয়েছিল। তেমন কিছু নয় তবে, এই গরমে রোদের মধ্যে রোডশো করে ক্লান্ত হয়ে যায় মিঠুন চক্রবর্তী। যা তিনি দলের নেতাদেরকেও বলেন। তাই তাকে আর সেখানে না রেখে তড়িঘড়ি হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিন সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ আসানসোলের এসবি গরাই রোডের বুধা ময়দানে চপারে নামেন মিঠুন চক্রবর্তী। তার চপার নামার জন্য বুধা ময়দান অস্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছিলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *