গৃহবধূ হত্যার অভিযোগ, চাঞ্চল্য রাণীগঞ্জ এলাকায়
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ : ( Asansol Raniganj News ) গৃহবধূ হত্যার অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য রাণীগঞ্জ থানা এলাকায়। মেয়ের মায়ের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা ঝনজট লেগেই ছিল তার মেয়ের পরিবারে শুক্রবার সেই রাত্রি ১১ টায় শেষ ফোনে কথা হয় তার তারপর আর কোন কথা হয়নি, তার মাধবী করেন স্বামী স্ত্রী একই ঘরে শুয়ে ছিল আর সেই ঘরের সিলিংয়ে কিভাবে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হতে পারে এক মহিলা, যে তার স্বামী কিছুই বুঝে উঠতে পারে না, তা অনেকটাই ভাবিয়ে তুলছে তাদের, একই সাথে তাদের দাবি যে বাড়িতে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, সেখানে বাড়ির দরজা খোলা ছিল, তাহলে কেনই বা সেই বাড়ির মধ্যে কেউ দেখতে পেল না এই ঘটনা যা অনেকটাই ভাবিয়ে তুলেছে মেয়ের মা চায়না মল্লিক সহ তার পরিবার পরিজন ও প্রতিবেশীদের।
শনিবার এ বিষয়ে রানীগঞ্জ থানার বল্লভপুর ফাঁড়ির পুলিশ এই মৃত্যুর ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত দেহ উদ্ধার করে দেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য রাণীগঞ্জ থানায় নিয়ে আসে। এ বিষয়ে মৃতের বাড়ির সদস্যরা মেয়ের শ্বশুর বাড়ির বেশ কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই ঘটনায় পুলিশ মৃতার স্বামী, রাহুল মন্ডল ও তার বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ এর জন্য আটক করেছেন। ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায় বছর আটেক আগে প্রণয় ঘটিত সম্পর্কের মাধ্যমে আসানসোল দক্ষিণ থানা অন্তর্গত ডামরা গ্রামের বাসিন্দা বছর ২৮ এর চৈতালির সঙ্গে বিয়ে করেন মোটর মেকানিক রাহুল মন্ডল।
পরে তাদের একটি পুত্র সন্তান হয়, অভিযোগ এই সন্তান হওয়ার পর থেকেই নানান অছিলায় ছেলের বাড়ির সদস্য ও তাদের জামাই চৈতালি কে নানানভাবে নির্যাতন চালাতে থাকে এ বিষয়ে মাঝে এক দফায় পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই মহিলার বাপের বাড়ির লোকজন যদিও সে দফায় সমস্ত বিষয়টি মীমাংসা হয়ে যায়। এরপরই হামেশাই ঝগড়া ঝামেলার কথা মেয়ের কাছে জানতে পারে তার মা ও পরিবারের সদস্যরা, এবার তারা শনিবার দিন জানতে পারলেন মেয়ের চরম পরিণতি কথা। যা শুনে সমস্ত বিষয় প্রত্যক্ষ করে হতবাক সকলে, কিভাবে তাদের মেয়ে এরূপ ঘটনা ঘটালো তা নিয়েই সন্ধিহান সকলে। মেয়ের বাপের বাড়ির পরিজনেরা এদিন রানীগঞ্জ থানায় হাজির হয়ে এই ঘটনাটি হত্যার ঘটনা ওই ঘটনার পেছনে মেয়ের শশুর বাড়ির সদস্যদের হাত রয়েছে বলেই দাবি করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন।
শনিবারই পুলিশ এই লিখিত অভিযোগে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তে জুটেছেন। এখন দেখার তদন্তে কি বিষয় উঠে আছে তারই প্রেক্ষিতে নেওয়া হবে সঠিক সিদ্ধান্ত। যদিও মেয়ের বাড়ির পরিবার তার স্বামী ও তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের কঠিনতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। পুলিশ প্রশাসন সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখে ঘটনার মূল কারণ খুঁজতে তৎপর হয়েছেন।