প্রয়াত মানিক উপাধ্যায়ের মূর্তিতে মাল্যদান করলেন বিজেপি প্রার্থী এসএস আলুওয়ালিয়া
বেঙ্গল মিরর, বারাবনি ও আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের আবহে শাসক ও বিরোধী দলের জোর টক্করে সোমবার সকাল এক অন্য ছবির সাক্ষী থাকলো আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বারাবনি বিধানসভার পাঁচগাছিয়া। প্রচারে বেরিয়ে রাজনীতিকে দূরে সরিয়ে রেখে এক সময়ের বন্ধু প্রয়াত মানিক উপাধ্যায়ের মূর্তিতে মাল্যদান করলেন আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী এসএস আলুওয়ালিয়া। বন্ধুর মূর্তিতে মাল্যদান করার পরে কথা বলার সময় বেশ কিছুটা হলেও আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন পদ্ম প্রার্থী। চোখ ছলছল করে ও গলা জড়িয়ে আসে। তার সঙ্গে ছিলেন মানিক উপাধ্যায়ের ছেলে মুকুল উপাধ্যায়, বারাবনির বিজেপি নেতা মনু রায় সহ অন্যান্যারা। মুকুল এসএস আলুওয়ালিয়ার পা ছুঁয়ে প্রণামও করেন।
প্রসঙ্গতঃ, একটা সময় বাম জমানায় এসএস আলুওয়ালিয়া ও মানিক উপাধ্যায়ের মতো কংগ্রেসের নেতারা এই আসানসোল শিল্পাঞ্চলে দাপটের সঙ্গে রাজনীতি করেছেন। ১৯৮৮ ও ১৯৯৬ সালে কংগ্রেসের টিকিটে জিতে বারাবনির বিধায়ক হয়েছিলেন মানিক উপাধ্যায়। ২০০১ সালে তিনি তৃনমুল কংগ্রেসে যোগদেন। সেই বছর তিনি ঘাসফুলের টিকিটে জিতে আবার বিধায়ক হন। তবে ২০০৬ সালে তিনি হেরে যান। ২০১০ সালের ২২ ডিসেম্বর মানিকবাবু প্রয়াত হন। তারপর ২০১১ সালে বাবার কেন্দ্র থেকে তৃনমুল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে বিধায়ক হন তার ছেলে বিধান উপাধ্যায়। এখনো তিনি বারাবনির বিধায়কের পাশাপাশি আসানসোল পুরনিগমের মেয়র। অন্য ছেলে মুকুল বারাবনি ব্লকের যুব নেতা।
এদিন সকালে এসএস আলুওয়ালিয়া আসানসোলের ১৯ নং জাতীয় সড়কের জুবিলি মোড় থেকে হুড খোলা গাড়িতে রোডশো শুরু করেন। মাঝেই পড়ে পাঁচগাছিয়া। সেখানে রোডশো থামিয়ে বন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি বলেন, একটা সময় মানিকের সঙ্গে একসঙ্গে বাম জমানায় রাজনীতি করেছি। পরে ও তৃনমুল কংগ্রেসে যোগ দেয়। আমি বিজেপিতে। আজ বন্ধু নেই। কিন্তু পুরনো বন্ধুত্ব ও পারিবারিক সম্পর্ক তো আছে। কি আর বলবো। তিনি বলেন, ওর ছেলে পা ছুঁয়ে প্রণাম করলো। রাজনীতি অন্য জায়গায়। আগের সব বন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যরা আমার কাছে আসছে।
এদিকে মুকুল উপাধ্যায় বলেন, বাবার বন্ধু। সম্পর্কে কাকু। অন্য রাজনৈতিক দল করলেও, তাকে তো আমি অসৌজন্যতা দেখাতে পারিনা। বাবার মূর্তিতে মালা দিয়েছে। আমি পা ছুঁয়ে প্রণাম করেছি। ব্যাস এইটুকু।