একই রঙের শাড়িতে অভিনবত্ব , ডিসিআরসিতে কাজের দায়িত্বে বারাবনি বিধানসভার ১১ জন মহিলা
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ* লোকসভা নির্বাচনে ” ড্রেস কোড “! একই রঙের শাড়ি পড়ে ডিসিআরসিতে ( ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার / রিসিভিং সেন্টার) কাজ করছেন ১১ জন মহিলা। তারা সবাই বারাবনি ব্লকের সরকারি কর্মী। এদিন তারা সবাই নীল রঙের শাড়ি পড়ে কাজে এসেছেন। রবিবার সকালে এমনই একটা ছবি দেখতে পাওয়া গেলো আসানসোলের পলিটেকনিক কলেজে। তবে এই ” ড্রেস কোড ” নির্বাচন কমিশন বা পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন ঠিক করে দেয়নি। ১১ জন মহিলা তারা নিজেরা আলোচনা করে এমন পরিকল্পনা নিয়েছেন। যা অবশ্যই শুধু অভিনবত্ব নয়, চমকও বলা যেতে পারে।
সোমবার ১৩ মে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন। তারজন্য আসানসোলের দুটি জায়গা আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও আসানসোল পলিটেকনিক কলেজে দুটি মোট পাঁচটি বিধানসভার জন্য ডিসিআরসি করা হয়েছে। রবিবার সকাল থেকে এই দুটি ডিসিআরসিতে ভোটকর্মীরা চলে আসেন। আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের জামুড়িয়া ও বারাবনি বিধানসভার ডিসিআরসি করা হয়েছে আসানসোল পলিটেকনিক কলেজে। আর
এবারের লোকসভা নির্বাচনে এই ডিসিআরসিতে নজর কাড়লেন বারাবনি ব্লকের ১১ জন মহিলা কর্মী। তারা ডিসিআরসিতে বিভিন্ন ধরনের কাজ করছেন। কেউ করছেন ডাটা এন্ট্রির কাজ। কেউ কেউ মোবাইল রেজিস্ট্রেশন শুরু করে ভোট কর্মীদের যাবতীয় জিনিসপত্র বুঝিয়ে দিয়ে সহযোগিতা করছেন।
কিন্তু একই রঙের শাড়ি পড়া বা ড্রেস কোডের ভাবনা কেন? এই প্রসঙ্গে পিঙ্কি তিরকি নামে এক মহিলা বলেন, আমাদেরকে এই শাড়ি পড়ে কেউ আসতে বলেননি। আমরা নিজেরা তা নিজেদের ভাবনায় পড়ে এসেছি। যাতে ভোট কর্মীদের বুঝতে সুবিধা হয়। তারা যাতে বুঝতে পারেন। তিনি আরো বলেন, আমরা ১১ জন ডিসিআরসিতে বারাবনি ব্লকের হয়ে কাজ করতে এসেছি।
এমন একটা অভিনব ভাবনা প্রসঙ্গে নির্বাচনের কাজে থাকা এক সরকারি আধিকারিক বলেন, একবারে নতুন। নির্বাচন কমিশন তো প্রতি ভোটেই অনেক নতুন নতুন পরিকল্পনা নিয়ে থাকেন। এই রকন ভাবনা যদি আগামী দিনে কমিশন নেয়, তাহলে অবশ্যই সুবিধা হবে।