আসানসোলে নির্বিঘ্নে ভোট ৭১.১৯ শতাংশ
তেমন কোন অভিযোগ নেই বিরোধীদের
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় , দেব ভট্টাচার্য ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত: বড় কোন গন্ডগোল ও অশান্তি হয়নি। সোমবার আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধান সভায় দু/একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া বলতে গেলে নির্বিঘ্নে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট হলো। প্রধান বিরোধী দুই দলের তরফে এদিন ভোট নিয়ে তেমন কিছু অভিযোগ সন্ধ্যে সাতটা পর্যন্ত করা হয় নি। শাসক দলের তরফেও এদিনের ভোট নিয়ে সন্ধ্যে পর্যন্ত তেমন কিছু জানানো হয় নি।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আসানসোল লোকসভায় সন্ধ্যে ছটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৭১.১৯ শতাংশ। কমিশনের ঠিক করা সময় ছিলো সন্ধ্যে ছটা। জানা গেছে, সন্ধ্যে ছটার পরেও বেশ কিছু বুথে ভোট গ্রহণ চলছে। সেক্ষেত্রে ভোট শতাংশের হার আরো সামান্য কিছু হলেও বাড়তে পারে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যে ছটা পর্যন্ত আসানসোল দক্ষিণে ৬৯ শতাংশ, আসানসোল উত্তরে ৬৭.৭০ শতাংশ, বারাবনিতে ৭০.৯৫ শতাংশ, জামুড়িয়ায় ৭২.১০ শতাংশ, কুলটিতে ৭৩ শতাংশ, পান্ডবেশ্বরে ৭১.৬৬ শতাংশ ও রানিগঞ্জে ৭৩.১১ শতাংশ ভোট পড়েছে। একইভাবে, বর্ধমান দূর্গাপুরে ভোট পড়েছে ৭৫.০২ শতাংশ।
আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার রানিগঞ্জের নতুন এগারা গ্রামে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য বিবেক মন্ডল সহ কয়েকজন বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। বিজেপির জেলা পরিষদের প্রার্থী দীপ্তরূপ মন্ডল ও সৌরভ মন্ডল এই হামলায় আহত হয়। বিজেপির অভিযোগ, দলের পতাকা এবং ব্যানার রবিবার মধ্যরাতে পর থেকেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা ছিঁড়ে দিচ্ছিল। তারা বাধা দিতে গেলেই মারধর করা হয়। পুরো বিষয়টি রাতেই নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি পুলিশকে জানানো হয়। খবর পেয়ে কিছুক্ষনের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিজেপির জেলা যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক অভীক মন্ডল। তারা ঐ দুষ্কৃতিদের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তৃণমূলের তরফে অবশ্য গোটা বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে।
অন্যদিকে আসানসোল পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটককে রবিবার রাতে একটি অজানা ফোন থেকে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ফোনে বলা হয়েছে, বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না ।ঠিক মতো থাকুন। অভিজিৎ ঘটক নির্বাচন কমিশনকে অভিযোগ জানিয়েছেন বলে তিনি সোমবার সকালে জানিয়ে। তার দাবি, ঐ ফোনটি বিজেপির পক্ষ থেকে করা হয়েছে। যদিও, বিজেপির জেলা সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় বলেন, অসত্য কথা বলা হচ্ছে। তদন্ত করলেই সত্য বেরিয়ে যাবে।
এদিকে, কুলটির নিয়ামতপুর বাজারে ১০৮ নম্বর বুথের কাছে থাকা বিজেপি ও তৃণমূল কর্মীদের বেঞ্চ টেবিল বুথ ক্যাম্প সরিয়ে দেয় রাজ্য পুলিশ। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে থাকা দুই দলেরই পতাকা খোলা হয়। বিকেলের দিকে কুলটির আরো একটি বুথে গন্ডগোল হয়।
জামুড়িয়া বিধানসভা কেন্দ্রের নিমসা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৯৯ নং বুথে বাবার সঙ্গে ভোট কেন্দ্রে আসে ছেলে। ছেলে তার বাবার পরিবর্তে ভোট দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠে। বুথের বাইরে ছেলেকে প্রশ্ন করা হলে সে বলে, বাবা মানসিক ভারসাম্যহীন। নিজেদের নাম বা অন্য কিছু জানাতে অস্বীকার করে তারা দ্রুত সেখান থেকে চলে যায়।
এদিকে, ভোট শেষ হওয়ার পরে সাংবাদিক সম্মেলনে আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী এসএস আলুওয়ালিয়া বলেন, বড় কোন ঘটনার খবর পাইনি। ছোটখাটো কিছু ঘটনা ঘটেছে। আমরা খবর নিচ্ছি। সবকিছু স্ক্রটিনি করা হচ্ছে। তেমন হলে মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনকে জানানো হবে। জেলা সভাপতি বলেন, ৭৭ টি বুথে দলের এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয় নি। বিজেপির তরফে সন্ধ্যে পর্যন্ত ১৬৩ টি অভিযোগ নির্বাচন কমিশনের কাছে করা হয়েছে।
विधानसभा क्षेत्र | कुल मतदाता | शाम 5 बजे तक मतदान |
---|---|---|
पांडेश्वर 275 | 217674 | 71.26 फीसदी |
रानीगंज 278 | 257547 | 73.21 फीसदी |
जामुड़िया – 279 | 232803 | 72.10 फीसदी |
आसनसोल दक्षिण – 280 | 284498 | 69 फीसदी |
आसनसोल उत्तर- 281 | 285648 | 67.7 फीसदी |
कुल्टी- 282 | 256907 | 73 फीसदी |
बाराबनी – 283 | 235204 | 72.95 फीसदी |