তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য গ্রামবাসীদের নিয়ে তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে দেখালো বিক্ষোভ
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ : তৃণমূলের এই পঞ্চায়েত সদস্য এবার গ্রামবাসীদের নিয়ে তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে দেখালো জোরদার আন্দোলন। রানীগঞ্জের তিরাট পঞ্চায়েত কার্যালয়ের গেট বন্ধ করে তারা দীর্ঘ প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে চালালো বিক্ষোভ কর্মসূচি। বিক্ষোভকারীদের দাবি পঞ্চায়েত প্রধান নিজের আধিপত্য দেখানোর জন্য পঞ্চায়েত কার্যালয়ে আসা গ্রামবাসীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে তারা কেন বিডিও দপ্তরে যোগাযোগ করেছিলেন সে নিয়ে প্রশ্ন করে তাদের বিরুদ্ধে আক্রোশ দেখাতেই এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন বলেই দাবি করে বৃহস্পতিবার তারা পঞ্চায়েত কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায়।
এদিন পঞ্চায়েতের সদস্যরা দাবি করে পঞ্চায়েত কার্যালয় খোলা হয় মর্জি মাফিক। আর বহু ক্ষেত্রে পঞ্চায়েতের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে তাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে বলেই অভিযোগ। তারা এমনও দাবি করেছে যে সকল উপভোক্তাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা পঞ্চায়েতে শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে গড়িমসি করে বলেই অভিযোগ । এমনই নানান উদাহরণ তুলে ধরে এদিন পঞ্চায়েতের ২ সদস্য পঞ্চায়েত কার্যালয়ে ব্যাপক সংখ্যায় মানুষজন এদের একত্রিত করে বিক্ষোভ দেখায় তাদের দাবি পঞ্চায়েত প্রধান ব্যক্তিগত কারণে কয়েকটি এলাকার মানুষজনদের পরিষেবা দেওয়ার থেকে বঞ্চিত রাখতে চাই যা করে তিনি নিজের ঔদ্ধত্য বজায় রাখতে চান বলেই দাবি তাদের।
এদিনের এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মধক্ষ স্বরূপ ব্যানার্জি আরো বেশ কয়েকটা অভিযোগ তুলে ধরে পঞ্চায়েতের প্রধানের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখায়। যদি ওই সমস্ত অভিযোগ একেবারে সরজমিনে নাকচ করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান সন্তোষ চট্টোপাধ্যায় । এদিন তিনি দাবি করেন প্রতি ক্ষেত্রেই সকল পঞ্চায়েত সদস্যর সমর্থন নিয়ে, নিয়ম মেনে, ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, তার দাবি গত কয়েকটা দিন নির্বাচনের সময়ে বেশ কিছু কারণে, কয়েকটি ক্ষেত্রে অসুবিধে সম্মুখীন হতে হয়েছে তাদের, তবে সে সকল বিষয়গুলি কাটিয়ে উঠে আবার স্বাভাবিক ছন্দে পঞ্চায়েতের কাজকর্ম করা হচ্ছে। কোন সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করা হবে না প্রতিটি ক্ষেত্রে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।