বেপরোয়া সরকারি বাস, গতির বলি এক স্কুটি চালক, প্রতিবাদে পথ অবরোধ বিক্ষোভ
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, দুর্গাপুর : বেপরোয়া সরকারি বাস, গতির বলি এক স্কুটি চালক। ঘটনার প্রতিবাদে এই ঘটনাকে ঘিরে দফায় দফায় পথ অবরোধ করল বিক্ষোভকারীরা। চলে পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ। মুহূর্তের ঘটা এই ঘটনায় উত্তেজনা দুর্গাপুরে।
ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায় মঙ্গলবার এই মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনার বলি হয় এক স্কুটি চালক। বিক্ষোভকারীদের দাবি সরকারি বাসের মদ্যপ চালকের, বেপরোয়া গাড়ি চালানোর জন্য এই স্কুটি চালকের জীবন চলে গেল। মঙ্গলবার এ বিষয়ে প্রতিবাদে দুর্গাপুরের কোকওভেন থানা এলাকায় দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার মূল কার্যালয়ের সামনে বারংবার পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ চলে স্থানীয়দের। এদিন বিক্ষোভকারীরা অফিসের ভেতর ঢুকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। আর ওই উত্তেজিত জনতার বিক্ষোভের মুখে পড়ে কোকওভেন থানার পুলিশ।
জানা যায় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ, দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার আসানসোল ডিপোর একটি বাস ডিভিসি মোড় থেকে দুর্গাপুর স্টেশনের দিকে আসছিল, ফিলিপ্স কার্বন কারখানার মোড়ের কাছে। যখন সেই বেপরোয়া সরকারি বাস স্কুটি চালককে ধাক্কা মারে, সে সময় সরকারি বাসের চাকায় আটকে যায় ঐ চালক, বিষয়টি লক্ষ্য করে পথ চলতি মানুষজন বাসের চালককে, বাসটি দাঁড় করানোর অনুরোধ জানালেও , বাস চালক বাসটিকে প্রায় হাফ কিলোমিটার পর্যন্ত, ঐ স্কুটি চালককে ঘষড়ে টেনে হিচড়াতে হিচড়াতে দক্ষিণ বঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার প্রধান কার্যালয় পর্যন্ত নিয়ে চলে যায়, পরে জনতার ক্ষোভের আগুন লক্ষ্য করে, ওই বাসটিকে সরকারি বাসের প্রধান কার্যালয়ের ভেতর ঢুকিয়ে দেয়, বাস চালক, যদিও এরই মধ্যে মারা যায় স্কুটি চালক।
স্থানীয়রা এবার দাবি করে কেন বারংবার ঐ বাস থেকে দাঁড়িয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলেও সে বাস দাঁড় করালোনা কেন ? এই প্রশ্ন তুলে ক্ষোভে ফুঁসতে থাকে বিক্ষোভকারীরা। পরে এদিন দুর্গাপুর স্টেশন রোড এলাকায় চলে বারংবার বিক্ষোভ অবরোধ। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় কোকওভেন থানার পুলিশ, যদিও তারাও উত্তেজিত জনতা মাঝে পৌঁছে ক্ষোভের মুখে পড়ে । এরপরে দক্ষিনবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের ভেতর ঢুকে বাসের চালককে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি করতে থাকে তারা। যদিও পরে পুলিশ পৌঁছে বিক্ষোভকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করলেও তারা তাদের ক্ষোভ প্রকাশ জারি রাখে, তারা এদিন দাবী করে ওই মৃত ব্যক্তির পরিবার পরিজনদের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ দিক সংস্থা। আর তার সাথেই তারা দাবি করে, অবিলম্বে সেই বাসের চালককে বহিষ্কৃত করুক বাস সংস্থা, নচেৎ তাদের কাছে ছেড়ে দিক বাস চালককে।
মঙ্গলবার এই ব্যাপক উত্তেজনা মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে দক্ষিণ বঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার অফিসে। বিক্ষোভের মধ্যে থাকা বিক্ষোভকারীরা জানান যতক্ষণ না তাদের দাবি পূরণ হচ্ছে, ততক্ষন জারি থাকবে এই আন্দোলন, বলে সাফ জানিয়ে দেয় তারা। অভিযোগ উঠেছে সরকারি বাস বেপরোয়া চালানোর বলি হতে হলো এই স্কুটি চালককে, এরকম ঘটনা এর আগেও ঘটেছে কিন্তু কেউ তা দেখে না। জানা গেছে মৃত ব্যাক্তি শ্যামল প্রামানিক, দুর্গাপুরের ফরিদপুর গ্রামের বাসিন্দা। এদিনের এই ঘটনায় টানটান উত্তেজনা জারি রয়েছে দুর্গাপুরের কোকওভেন থানা এলাকায় অবস্থিত ওই দক্ষিনবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার প্রধান দপ্তরে।