লালু যাদবের বউকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ, রানীগঞ্জ থানায় গ্রেফতার এক
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ : শশুরের হাতে খুন হতে হলো ঘরের গৃহবধূকে।পারিবারিক বিবাদের মধ্যে, স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে শশুরের হাতে লাঠি-পেটা খেয়ে মৃত্যু হল গৃহবধূর। চলতি মাসের ২৪ তারিখ রাত্রে রানীগঞ্জের রাজ পাড়ার, মুঙ্গেরি খাটালে ঘটে এই ঘটনা। সেই রাতেই বছর তিরিশের রিতা দেবীকে গুরুতর আহত অবস্থায় আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। পরে এই ঘটনার খবর রিতা দেবীর বাপের বাড়ির পরিবারের সদস্যদের দেওয়া হলে, ২৬ শে মে রবিবার, বিহারের জামুই জেলার বাসিন্দা রাম খিলাওন যাদব রানীগঞ্জ থানা এলাকায় পৌঁছে তার জামাই লালু যাদবের কাছে নিজের মেয়ের মৃত্যুর ঘটনার সমস্ত বিষয় জেনে নিয়ে রানীগঞ্জ থানায় তার বেয়াই অরবিন্দ যাদবের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ দায়ের করে।
আর তার সাথেই এই হত্যার সহযোগিতা করার জন্য তারই ছেলে গুড্ডু যাদবের বিরুদ্ধেও লিখিত অভিযোগ জানায় সে। এই ঘটনায় তার জামাই লালু যাদব গুরুতরভাবে আহত হয়েছে। সেও নিজের বাবার এ ধরনের কান্ড কারখানা অকপটে স্বীকার করেছে তার বক্তব্যে। লালু যাদবের দাবি দীর্ঘদিন ধরেই তাকে অতিরিক্ত টাকা দেওয়ার দাবী জানিয়ে নানান লাঞ্ছনা গঞ্জনা দেওয়া হত সেদিনও সেরূপভাবে লাঞ্ছনা গঞ্জনা দিনে সে তার বাবার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালে তার বাবা ও তার দাদা তাকে লাঠি দিয়ে মারধোর করতে থাকে। বিষয়টি লক্ষ্য করে তার স্ত্রী রিতা দেবী তার স্বামীকে বাঁচাতে গেলে তাকেও বারংবার লাঠিপেটা করতে থাকে তার শ্বশুরমশাই ও তার ভাসুর।
এই ঘটনার পর গুরুতর ভাবে আহত হয় লালু ও তার স্ত্রী রিতা দেবী। লালু যাদবের দাবি বিষয়টি লক্ষ্য করে তার ভাই পাড়া-প্রতিবেশীদের সঙ্গে নিয়ে তাকে ও তার বৌদিকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে তাদের অবস্থা আশঙ্কা জনক বলে জানিয়ে দিলে তারা তাদের। সেখানেই গুরুতর আহত রিতা দেবীর মৃত্যু হয়। রিতা দেবীর বাবা রাম খিলাওন যাদবের অভিযোগ তার মেয়েকে বারংবার নানান অজুহাতে তার শ্বশুরবাড়ি লোকজন গঞ্জনা দিত তাকে পনের দাবিতে চাপ দেওয়া হতো আর তা না দিতে পারায় নির্যাতন চলতো অহরহ।
এবারও সেরূপ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলেই মনে করছেন তিনি। এদিন এই মৃত্যুর ঘটনার পর রিতা দেবীর পরিবারের সদস্য ও তার স্বামী তার স্ত্রীকে হত্যাকারী বাবার ও তার দাদার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এই ঘটনায় পুলিশ অভিযোগ পাওয়ার পরপরই অভিযুক্ত রিতা দেবীর শশুর অরবিন্দ যাদব কে গ্রেফতার করেছে। তবে তার দাদা ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দেয়। পুলিশ এই ঘটনার খবর জানতে পারার পরই দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে রেখে দেয় বলেই জানা গেছে।