মলয় ঘটকের ফোনে নেতা ও কর্মীদের বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র ভোট গণনার আগের দিন পশ্চিম বর্ধমান তৃণমূল কংগ্রেসের বৈঠক
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃআসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের ভোট গণনা হবে আজ মঙ্গলবার আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। ঠিক তার আগের দিন সোমবার সকালে আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনে পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে গণনাকে সামনে রেখে একটি বৈঠক হয়। এই বৈঠকে রাজ্যের আইন ও শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক, জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, দলের প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার স্ত্রী পুনম সিনহা, আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়, জামুড়িয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং, আসানসোল দূর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ বা আড্ডার চেয়ারম্যান রানিগঞ্জের বিধায়ক তাপস বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল পুরনিগমের দুই ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক ও ওয়াসিমুল হক, পুর চেয়ারম্যান তথা প্রার্থীর ইলেকশন এজেন্ট অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়, মেয়র পারিষদ গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায়, সব কমিটির সমস্ত সদস্য, সমস্ত শাখা সংগঠনের সভাপতি ও সম্পাদক, জেলার সমস্ত ব্লক সভাপতি এবং গণনা এজেন্টরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিনের বৈঠকে তৃনমুল কংগ্রেস সুপ্রিম তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রী মলয় ঘটকের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জেলার নেতা ও কর্মীদের পাশাপাশি কাউন্টিং এজেন্টদের বার্তা দেন। তিনি সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেন। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের নাম করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সব এজেন্টদেরকে যেন সিস্টেম সম্পর্কে অবহিত থাকতে বলেছেন। সেই সময় জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী দলনেত্রীকে আশ্বস্ত করে বলেন, দিদি আসানসোলে জিতবো। কোন চিন্তা করবেন না।
বৈঠক শেষে এই বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, তৃণমূলের প্রতিটি কর্মী গত তিন মাস ধরে যেভাবে কঠোর পরিশ্রম করছেন, তা দেওয়াল লিখন হোক বা পোস্টার লাগানো হোক বা মিটিং-মিছিলে অংশ নেওয়া হোক, তাতে আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে যে তৃণমূলের জয় হবে । তিনি আরো বলেন, গত উপনির্বাচনে তৃণমূল এখানে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে। এবারও আমরা আসানসোলের ভোটারদের জনগণের আশীর্বাদ পাবো বলে আশা করি। তার কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে এক্সিট পোল বলছে যে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে সরকার আবার গঠিত হবে। তার উত্তরে তিনি বলেন, এসবই গোদি মিডিয়া ও মোদি মিডিয়ার কারসাজি। তারা দেশের মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। বিজেপির কাউন্টিং এজেন্টরা অন্তত কিছু ভোট গণনা কেন্দ্রে পৌঁছতে পারে তার একটা ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছে এইসব মিডিয়া।