চলবে না, বুলডোজার, পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ নয়, কড়া হুঁশিয়ারী সাংসদ কীর্তি আজাদের
দূর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে বন্ধ কারখানা নিয়ে সংসদে সরব হবেন
বেঙ্গল মিরর, দূর্গাপুর, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ বুলডোজার চলবে না। বুলডোজার চালানোর কথা ভুলে যেতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আছে এ বিষয়ে। পুনর্বাসন না দিয়ে কোন রকম উচ্ছেদ করা চলবে না। বুলডোজার চালালে হাতে হাতকড়া পরানো হবে। শুক্রবার দূর্গাপুরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এভাবেই কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন শিল্প সংস্থার কতৃপক্ষকে হুঁশিয়ারী দিলেন বর্ধমান – দূর্গাপুর কেন্দ্র থেকে সদ্য নির্বাচন যুদ্ধে জয়ী তৃনমুল কংগ্রেসের সাংসদ কীর্তি। তিনি বলেন, এরই মধ্যে আমি এ নিয়ে চিঠি দিয়েছি ডিভিসি ও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা কতৃপক্ষকে।




সম্প্রসারণ এবং আধুনিকীকরণের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, উদ্যোগ ভালো। কিন্তু কোন পুনর্বাসন ছাড়াই উচ্ছেদ করতে হলে সুপ্রীম কোর্ট পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাওয়া হবে কারন। এ নিয়ে সর্বোচ্চ আদালত কিন্তু বহু রায় দিয়েছে। সদ্য নির্বাচন যুদ্ধে জয়ী হওয়ার পরে এদিন প্রথম সাংবাদিক সম্মেলন করেন কীর্তি আজাদ। তিনি বলেন, উচ্ছেদ নিয়ে কোন তাড়াহুড়ো চলবে না। পুনর্বাসনের বিকল্প ব্যবস্থা করার পরেই এটা করতে হবে। কার্যত আসন্ন পুরনিগম ভোটের আগে কারখানার জমিতে বসে থাকা বস্তিগুলির বাসিন্দাদের কাছে প্রথম বার্তা দিলেন কোন ভাবেই উচ্ছেদ করতে দেওয়া হবে না, পুনর্বাসন ছাড়া।
দুর্গাপুরের কেন্দ্রীয় সরকারের কারখানাগুলি নিয়ে তিনি সংসদে বলবেন বলে এদিন জানান। কারোর নাম না করে তৃনমুল কংগ্রেসের সাংসদ বলেন, উনি তো এখন আর তানাশাহী চালাতে পারবেন না। উনি এখন তো মজবুর আছেন । তিনি বলেন, সংসদে যখনই বলার সুযোগ পাবো তখনই বন্ধ কারখানা খোলার বিষয়ে বলবো। এমএএমসি, ডিভিসি ও দামোদরে ড্রেজিং নিয়ে কথা বলবো ।
দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে তৃণমুলের অন্দরে কি অন্তর্ঘাত হয়েছে, যার জন্য এই ফল। এই প্রশ্নের উত্তরে সাংসদ কীর্তি আজাদ তৃণমুল নেতা ও কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, নেতা কর্মীদের দোষ দেবোনা। গতবারে ৭৬ হাজার ভোটে পিছিয়ে ছিল তৃণমুল। এবার ৬৮ হাজার ভোট ফিরিয়ে আনা হয়েছে । কর্মীরা পরিশ্রম করেছেন তাই সম্ভব হয়েছে। আর সব বুথে জয় পাওয়া যাবে এটা ভুল ধারনা। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে ল কীর্তি আজাদের সঙ্গে থাকা রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, ফল নিয়ে দলের অন্দরে চর্চা হচ্ছে। কেন কম ভোট পেলো দল , কোন এলাকায় কেন মানুষ আমাদেরকে ভোট দিলেন না তা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। পঞ্চায়েত মন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকটি ভোটের ধরন আলাদা। তাই সে ভাকবেই দেখা হবে লোকসভা নির্বাচনের ফলকে।