ASANSOL

রানিগঞ্জে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা, আসানসোল জেলা হাসপাতালে ধৃত সনু সিং

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ রানিগঞ্জে সোনার দোকানে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনায় ধৃত সনু সিংকে বুধবার সন্ধ্যায় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালের এমারজেন্সি বিভাগে চিকিৎসক বেশ কিছুক্ষন ধরে তার শারীরিক পরীক্ষা করেন। তারপর তাকে পুলিশ সেলে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সার্জেনের তত্ত্বাবধানে সনু সিংকে ভর্তি করা হয়েছে। আরো জানা গেছে, তার প্রাথমিক পরীক্ষায় তেমন কোন অস্বাভাবিকতা পাওয়া যায়নি। তবুও, এই ঘটনার গুরুত্ব ও তার সঙ্গে জড়িত থাকা এমন হাইপ্রোফাইল অভিযুক্তকে নিয়ে পুলিশ কোন ঝুঁকি নিতে চায়নি।


আরো জানা গেছে, ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতার হওয়া ঘটনার দিন গুলি লাগা জখম অবস্থায় সনুকে আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছিলো। মঙ্গলবার সকালে আসানসোল আদালতকে পুলিশের তরফে রানিগঞ্জের ঘটনায় এই সনুকে গ্রেফতার ও তাকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার কথা জানানো হয়েছিলো। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এদিন সনুকে ১০ দিনের হেফাজতে পাওয়া গেছে। সেই কারণে বুধবার বিকেলে তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশের কড়া পাহারায় আসানসোলে আনা হচ্ছিলো।

কিন্তু দূর্গাপুরের বাঁশকোপার আছে সনু সিং সঙ্গে থাকে পুলিশ অফিসারদের তার শারীরিক অসুস্থার কথা বলে। সঙ্গে পুলিশ অফিসাররা ঊধ্বর্তন অফিসারদের বিষয়টি জানান। তাদের পরামর্শ মতো সন্ধ্যে সাড়ে ছটা নাগাদ প্রচন্ড ঝড়বৃষ্টির মধ্যে সনুকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
প্রসঙ্গতঃ, গত রবিবার দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ ৭ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল রানিগঞ্জের ৬০ নং জাতীয় সড়ক বা এনএসবি রোডে তারবাংলা এলাকায় সোনার দোকানে হানা দেয়। মিনিট পাঁচেকের অপারেশন শেষ করে ডাকাত দল দোকান থেকে বেরোচ্ছিলো। সেই সময় তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করেন এলাকায় নিজের কাজে আসা আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের জামুড়িয়া থানার শ্রীপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ মেঘনাদ মন্ডল। ডাকাতরাও তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। এই লড়াইয়ে একটি গুলি এই সনু সিংয়ের পিঠ ও কোমরের মাঝে লাগে। সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। সেই অবস্থায় তার দুই সঙ্গী তাকে মোটরবাইকে চাপিয়ে এলাকা থেকে চম্পট দেয়।


এখনো পর্যন্ত এই ঘটনায় পুলিশ ঝাড়খণ্ড থেকে সনু সিংকে গ্রেফতার করেছে। তার মধ্যে সুরজ সিংকে হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জেরা শুরু করেছে। কিন্তু সনুকে তেমন ভাবে পুলিশ জেরা করতে পারেনি। তাই পুলিশ এখন চাইছে সনুকে দ্রুত সুস্থ করে তোলা। যাতে তাকে জেরা করে ডাকাতদলের বাকি সদস্যদের ধরা যায়।
উল্লেখ্য, এই ঘটনায় আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে তিনটি দল তৈরি করা হয়েছে। তারা বিহার ও ঝাড়খণ্ডে রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *