গন্ধর্ব কলা সঙ্গমের রবীন্দ্র – নজরুল সন্ধ্যা
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ : দামোদর নদ তটোবর্তী নারানকুঁড়ি, মথুরা চন্ডী মন্দির লাগোয়া, ভারতের প্রথম কয়লা খনি গড়ে ওঠা ঐতিহাসিক পর্যটনস্থল, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়, রবীন্দ্র, নজরুলের নাচ, গান, কবিতা আবৃতি চর্চায়, মুখরিত হয়ে উঠলো। ছোট বড় সকল শিল্পীরা এদিন নাচে গানে মুখরিত করল ঐতিহাসিক এই পর্যটন স্থলকে। মূলত কয়লাঞ্চলের সম্মান ও গৌরব বৃদ্ধির লক্ষ্যে, যে অঞ্চলকে গড় মেনে চলা হয়, সেই কয়লা শিল্পকে সমৃদ্ধ করা, রানীগঞ্জ কয়লাঞ্চলকে পৃথিবীর বুকে স্থান করে দেওয়া, এই প্রথম কয়লা খনি অঞ্চলে, দীর্ঘ দিন ধরেই ধারাবাহিক ভাবে শিল্পচর্চা করে, রবীন্দ্র-নজরুল সংস্কৃতিকে আরো বেশি করে গ্রহণযোগ্য করে তোলার আয়োজন করে আসছেন, রাণীগঞ্জের সংস্কৃতি প্রেমী সংস্থা, গন্ধর্ব কলার সঙ্গম। যারি অঙ্গ হিসেবে, বিগত বছরগুলির ন্যায় এবছরও রবীন্দ্র নজরুলের সব সৃষ্টিকে নাটক, নিত্য গীতি ও কবিতা আবৃত্তির মধ্যে তুলে ধরে দর্শকদের মন জয় করল এই সংস্থা।
এবার সেই ঐতিহ্যবাহী কয়লা খনির ভূখন্ডে, মথুরা চন্ডী মন্দির কমিটি কে সঙ্গে নিয়ে, ১৩ ই জুন তারা প্রিন্স দ্বারকানাথ টেগোর এর প্রপুত্র রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মরণে ও বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের রচিত কবিতা আবৃত্তিতে, সকলের মধ্যে আলোড়ন তুলল। বিগত সময়ের মতো এবারও প্রিন্স দ্বারকানাথ টেগর হেরিটেজ কমিটির পক্ষ থেকে নেওয়া হয় বিশেষ উদ্যোগ ।আর তার সাথেই এবারের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে আকর্ষনের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের সকল ধর্মের প্রতি আস্থা রেখে, মানব ধর্মের প্রতি তার অটুট বন্ধন গড়ে তোলা, বিভিন্ন কবিতা আবৃতি। সাংস্কৃতিক এই কর্মকাণ্ডে এলাকার সাধারণ মানুষ ব্যাপকভাবে অংশ নিয়ে, এই সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা কে প্রাণোচ্ছল করে তোলে।
আয়োজকরা জানিয়েছেন মূলত রানীগঞ্জের এই ঐতিহ্যবাহী স্থানকে সকলের মাঝে তুলে ধরার জন্য, তারা নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আগামীতে এই স্থানকে সকলের মাঝে গ্রহণযোগ্য করে তোলায় তাদের লক্ষ্য। বর্তমানে এলাকাটি পর্যটন স্থল হিসেবে গড়ে তুলেতে, তারা নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, বলে জানান। আর সে সকল বিষয়কে মাথায় রেখেই চলছে এলাকায় ধারাবাহিক সাংস্কৃতিক চর্চা। সামগ্রিক এই কর্মকান্ডের পরিচালনা করেছেন গন্ধর্ব কলা সঙ্গমের কর্ণধার শাশ্বতী চ্যাটার্জি, প্রেসিডেন্ট প্রদীপ নন্দী, সেক্রেটারি সুশীল কুমার গ্যানেরিওয়াল, সহ বহু বিশিষ্টজন।