সর্বক্ষেত্রে একজন সফল নারী , নিজের অস্তিত্ব প্রতিষ্ঠা করেছেন আসানসোলের মিতা রায়
বেঙ্গল মিরর, রানিগঞ্জ, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দোপাধ্যায়: আজ সমগ্র আসানসোল শিল্পাঞ্চলের মানুষ মিতা রায়কে একজন সমাজকর্মী হিসেবে চেনেন। মিতা রায় বলেন, আত্মবিশ্বাস এবং ১০০ % একাগ্রতার সাথে যে কাজই করা হোক না কেন, সাফল্য অবশ্যই পাওয়া যায়। আমি আমার জীবনে এই প্রবাদটি নিজের উপর প্রয়োগ করে দেখেছি ও তার ফল হাতেনাতে পেয়েছি। ১০০ জনেরও কম পড়ুয়া নিয়ে তিনি একটি স্কুল খোলেন।তার মাধ্যমে পড়ুয়াদের উন্নত শিক্ষা ও মূল্যবোধ দেওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যান। যে কারণে আজ স্কুলটিতে ২ হাজার জনেরও বেশি পড়ুয়া পড়াশোনা করছে। তিনি গানের ক্ষেত্রেও খুব আগ্রহী। এর পাশাপাশি সমাজসেবা করা আমার শখ। আমি আমার পক্ষ থেকে এই সুবিধা প্রদান করি যাদের পড়াশোনার জন্য বই এবং স্কুলের ইউনিফর্মের প্রয়োজন হয়।
ভগবান আমাকে কিছু লোকের সেবা করার জন্য তৈরি করেছেন। যা, আমার সৌভাগ্য। তাই আমি মানুষের সেবা করতে খুব পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় শিশুদের সর্বাঙ্গীণ বিকাশের জন্য আমি সর্বদা প্রস্তুত, সেই কারণেই আজ আমি পুরো শিল্পাঞ্চলে দুটি নামী স্কুল পরিচালনা করছি। অনেক সামাজিক সংগঠনের প্রধান কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগও পাচ্ছি। এ কাজে আমার স্বামী শচীন রায়ের অবদান ১০০ ভাগ। তার সহযোগিতায় আজ আমি একজন সফল নারী হওয়ার সুযোগ পেয়েছি।
আশা করি আমার উপর ভগবানের আশীর্বাদ এই রকম ভাবেই থাকবে, যাতে আমি সারাজীবন এভাবে মানুষের সেবায় সময় দেবো। নিরাপত্তার জাতীয় সভাপতি দলজিৎ সিং বলেন, মিতা রায় নারীদের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছেন। সমাজসেবার ক্ষেত্রে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান হলো, তিনি শিগগিরই নিরাপত্তার পক্ষ থেকে একজন সফল নারী হিসেবে সম্মানিত হবেন।