আসানসোল আর্টিস্ট ওয়েলফেয়ার সোসাইটির উদ্যোগ ২১ জুন থেকে তিন দিনব্যাপী বাংলা সঙ্গীত মেলার আয়োজন
বেঙ্গল মিরর,আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দোপাধ্যায়: আসানসোল আর্টিস্ট ওয়েলফেয়ার সোসাইটির উদ্যোগে আসানসোল নর্থ পয়েন্ট স্কুল ” বাংলা সঙ্গীত মেলা” র আসর বসতে চলেছে আসানসোল রবীন্দ্র ভবনে। তিন দিনব্যাপী সঙ্গীত মেলা শুরু হবে আগামী ২১ জুন থেকে। চলবে ২৩ জুন পর্যন্ত। প্রতিদিন বিকেল তিনটে থেকে শুরু সঙ্গীতের অনুষ্ঠান। চলবে রাত দশটা পর্যন্ত। এই সঙ্গীত মেলায় আসানসোল শহর তথা শিল্পাঞ্চলে আশেপাশের এলাকার শিল্পীরা ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন কলকাতা ও বাইরের শিল্পীরা। মঙ্গলবার দুপুরে আসানসোলের জিটি রোডের পুরনো রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম মোড়ে পার্বতী হোটেলে আসানসোল আর্টিস্ট ওয়েলফেয়ার সোসাইটির তরফে হওয়া এক সাংবাদিক সম্মেলনে গোটা বিষয়গুলি তুলে ধরেন সংগঠনের চিফ প্যাটার্ন শচীন রায় । এছাড়াও ছিলেন বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায়, সন্দীপ কুমার ঘোষ ও মলয় সরকার।
শচীন রায় বলেন, ২১, ২২ ও ২৩ জুন রবীন্দ্র ভবনে নর্থ পয়েন্ট স্কুল বাংলা সঙ্গীত মেলার আয়োজন করা হবে। এই মেলায় আসানসোল ও আশেপাশের এলাকার শিল্পীরা ছাড়াও কলকাতা দুর্গাপুরের শিল্পীরা উপস্থিত থাকবেন। প্রায় দুই শতাধিক সঙ্গীত শিল্পী মেলায় অংশ নেবেন। এই শিল্পীদের মধ্যে প্রায় ৯৫ শতাংশ আসানসোল ও আশেপাশের এলাকার। মাত্র ৫ শতাংশের মতো অন্যান্য জায়গা থেকে আসবেন। তিনি বলেন, আসানসোল এবং আশেপাশের এলাকার শিল্পীদের একটি প্ল্যাটফর্ম দেওয়া এই সংস্থার উদ্দেশ্য। এখনও পর্যন্ত এমন একটি প্ল্যাটফর্ম পাননি আমরা তাদেরকে পাশে থাকছি ।
লকডাউনের সময়, আমরা দেখেছি যে শিল্পীদের আর্থিক অবস্থা এত খারাপ হয়ে গেছিলো যে তাদের সংসার চালানোও কঠিন হয়ে পড়েছিলো। শিল্পীর অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিল যে তাদের বাদ্যযন্ত্র পর্যন্ত বিক্রি করতে হয়েছিল। তখন ভাবা হয়, এমন একটি সংগঠন করা উচিত যাতে স্থানীয় শিল্পীরা স্বস্তি পেতে পারেন। এই চিন্তা মাথায় রেখে আসানসোল আর্টিস্ট ওয়েলফেয়ার সোসাইটি গঠন করা হয়।
তিনি বলেন, গত দুই বছর এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। এবারের মেলা তৃতীয় বছরের । এবারের সঙ্গীত মেলায়আসবেন বাংলার কবি শ্রীজাত । আসছেন গৌতম ঘোষালের মতো ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক সম্মেলনে বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায়, মলয় সরকার সন্দীপ কুমার ঘোষ বলেন, যে যখন গানের অডিশনের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, তখন ৫০০ জনেরও বেশি শিল্পী তাদের গান পাঠিয়েছিলেন। তার মধ্যে গুরুগ্রামের একজন শিল্পীও তার গান পাঠিয়েছিলেন। তবে ব্যক্তিগত কিছু কারণে তিনি আসতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন । এর থেকেই বোঝা যায় বাংলা গান মেলা তিন বছরেও কতটা জনপ্রিয় হয়েছে। তিন দিনের এই সঙ্গীত মেলায় কোন প্রবেশ মূল্য থাকছে না বলে উদ্যোক্তাদের তরফে জানানো হয়েছে।