গরমের ছুটির মধ্যে স্কুলে তালাবন্ধ রুম থেকে উধাও নয়টি কম্পিউটার, তদন্তে পুলিশ ও আরপিএফ
বেঙ্গল মিরর, চিত্তরঞ্জন, দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দোপাধ্যায় : রেল শহর চিত্তরঞ্জনে দেশবন্ধু বয়েজ হাইস্কুলের কম্পিউটার রুম থেকে নটি কম্পিউটার চুরির ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যেই স্কুলের তরফে লিখিত অভিযোগ দায়ের হওয়ায় পুরো বিষয়টি নিয়ে চিত্তরঞ্জন পুলিশ ও আরপিএফ তদন্ত শুরু হয়েছে। জানা গেছে, গরমের ছুটির পর চিত্তরঞ্জন দেশবন্ধু বয়েজ হাইস্কুল খোলে। পরে কম্পিউটার রুম খুলে দেখা যায় নটি কম্পিউটারের মধ্যে একটিও নেই । অথচ কম্পিউটার রুমে তালা লাগানো আছে। কোথাও কোন দরজা বা জানালা ভাঙা নেই। ফলে এই ঘটনার মধ্যে যে বড় ধরনের রহস্য আছে তা নিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
এই বিষয়ে স্কুলের টিচার ইনচার্জ নগেন্দ্র কুমারকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, যা বলার আমি পুলিশ ও রেল কতৃপক্ষকে বলবো । মিডিয়াকে কিছু বলবো না। তবে তিনি স্বীকার করেন যে, বৃহস্পতিবার চিত্তরঞ্জন থানায় তাকে পুরো ঘটনা নিয়ে জানার জন্য ডাকা হয়েছিল।
চিত্তরঞ্জনের ন্যাশনাল ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান রেলওয়ের নেতা ইন্দ্রজিৎ সিং বলেন, এই স্কুলের এতগুলি কম্পিউটার দিয়ে উন্নত মানের শিক্ষার যখন ব্যবস্থা করা হয়েছিলো। তখন এই চুরির ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত হওয়া উচিত। যারাই দোষী হোন না কেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও আমরা রেলের কাছে জানিয়েছি। কারন এর সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ জড়িয়ে আছে।
এই ঘটনা নিয়ে চিত্তরঞ্জন থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ বলেন, ঐ স্কুলের কম্পিউটার রুমের কোনরকম তালা ভাঙ্গা হয়নি। জানালা বা দরজাও ভাঙা হয়নি। তাহলে চুরি হলো কিভাবে ? সেই কারণেই আমি টিচার ইনচার্জকে ডেকে জানতে চেয়েছি তাদের কাছে চাবি থাকতো। সেই চাবি কিভাবে খোলা হতো। আমরা পুরো বিষয়টা নিয়ে তদন্ত করছি।
অন্যদিকে, চিত্তরঞ্জন রেল কারখানার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার তথা মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক এবং রেল শহরের স্কুলগুলির দায়িত্বে থাকা প্রধান শিক্ষা আধিকারিক উত্তম মাইতি বলেন, আমি বিষয়টা শুনেছি। পরে আরপিএফের কাছে সমস্ত ঘটনাটি তদন্ত করে জানাতে বলেছি ।মাধ্যমিকের পরীক্ষার ফল খারাপ হওয়ার কারণে ঐ স্কুলের টিচার ইনচার্জকেই আমি কারণ দর্শানোর জন্য চিঠি দিয়েছি। উনি অবশ্য বলেছেন গরমের ছুটি থাকার কারণে উত্তর দিতে পারেননি। এবার তিনি উত্তর পাঠাবেন। উত্তর পাওয়ার পরে যা করার করা হবে।