নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগ, মানকর কলেজের পড়ুয়া গ্রেফতার, জেরা এসটিএফের
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, দুর্গাপুরঃ বছর আটেক আগে এক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াকে গোপালপুর পশ্চিম পাড়ার রাসতলার একটি বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছিলো রাজ্য পুলিশের সিআইডি । সে কলেজ পড়ুয়া পরিচয় দিয়ে মেস ভাড়া নিয়েছিল । তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল সে এক নিষিদ্ধ জংঙ্গি সংগঠনের সাথে যুক্ত । সেই ছাত্রটি মেধাবি এবং গরীব পরিবারের ছেলে ছিল । কোনক্রমে সে জড়িয়ে পরে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সাথে ।
ঠিক আট বছর পরে শনিবার রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফ আবার এক ছাত্রকে শনিবার রাতে আটক করে পশ্চিম বর্ধমান জেলার দূর্গাপুরের কাঁকসা থেকে। জেরা করার পরে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত ছাত্রর নাম মহঃ হাবিবুল্লাহ। সুত্রের খবর, বাবা পরিশ্রম করে তার ছেলেকে মানুষ করছিলেন। ধৃত হাবিবুল্লাহ মানকর কলেজের কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্র। এসটিএফের দাবি, ছাত্র বাংলাদেশ নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের মডিউল ” শাহদাত” র সঙ্গে যুক্ত।
সে একটি ওয়াটস অ্যাপ গ্রুপ খুলে জঙ্গি সংগঠনের প্রচার চালাচ্ছিল বলে খবর। ধৃতর বিরুদ্ধে কাঁকসা থানায় ইউএপিএ সহ একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে। রবিবার ধৃতকে আদালতে তোলা হবে বলে এসটিএফ সূত্রে জানা গেছে। এসটিএফ ও পুলিশ এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোন সরকারি বিবৃতি দেয় নি।
জানা গেছে, শনিবার বিকেলের পরে এসটিএফের একটি দল ঘিরে ফেলে কাঁকসার মিরে পাড়ার মহম্মদ হাবিবুল্লাহর বাড়ি । এসটিএফের অফিসাররা বাড়িতে ঢুকে হাবিবুল্লাহ আটক করে। বাড়িতে তল্লাশি করে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ সহ বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়। এরপরে এসটিএফ কাঁকসা থানায় নিয়ে আসে হাবিবুল্লাহকে । কাঁকসা থানার ৫০০ মিটার দূরে হাবিবুলের বাড়ি ।
হাবিবুলকে আটক করে কাঁকসা থানায় এনে জেরা করা হয়। দীর্ঘ জেরা করার পরে রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে । এসটিএফের অফিসাররা তদন্তের স্বার্থে বিশেষ কিছু বলতে চাননি । তবে, সুত্রের খবর, বেশ কিছুদিন ধরে এসটিএফের নজর ছিল হাবিবুলের গতিবিধির উপরে। গ কয়েকদিন ধরেই সাদা পোষাকে হাবিবুল্লাহর পেছনেই পড়ে থাকতেন বেশ কিছু দুঁদে এসটিএফ অফিসার। বাংলাদেশের এক নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে । আটক করার পরে চলে ম্যারাথন জেরা। সেই জেরায় বেশ কিছু তথ্য উঠে আসে বলে সুত্রের খবর । বাজেয়াপ্ত নথিগুলিও পরীক্ষা করে দেখছেন এসটিএফের অফিসাররা ।
রাতেই কাঁকসা থানায় ডাকা হয় তৃণমুল নেতা পল্লব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পরে তিনি বলেন, যতদুর জেনেছি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকার সন্দেহে ঐ ছাত্রকে জেরা করা হচ্ছে । তবে এতা যদি হয়ে থাকে তবে তা দুর্ভাগ্যজনক । এটাও সত্যি যে পুলিশ দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়েছে । এরকম ঘটনা অন্য রাজ্যে অনেক বেশি ঘটে থাকে। পুলিশকে গোটা বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে।