মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির জামুড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতির কড়া পদক্ষেপ, অবৈধ বালি ও মাটি পাচার আটকাতে অভিযান
বেঙ্গল মিরর, জামুড়িয়া, দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ ( JAMURIA NEWS) রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া হুঁশিয়ারির পরে অবৈধ মাটি ও বালি পাচারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার পথে হাঁটলো পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের জামুড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতি। সোমবার জামুরিয়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সিদ্ধার্থ রানা নেতৃত্বে ভূমি কর্মাধ্যক্ষ জগন্নাথ শেঠ , মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মাধ্যক্ষ অনিমেষ বন্দোপাধ্যায়, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ উদীপ সিং ও কৃষি কর্মাধ্যক্ষ কৌস্তব চক্রবর্তী আচমকাই ৬০ নং জাতীয় সড়কের বাহাদুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধসল মোড়ে পৌঁছান।
সেখানে তারা দুটি মাটি বোঝাই ডাম্পার আটকান। চালক কোন বৈধ কাগজ দেখাতে না পারায় ডাম্পার দুটি ও চালকদেরকে জামুড়িয়া থানার কেন্দা ফাঁড়ির পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। রবিবারও এই ধরনের অভিযান চালিয়ে চারটি মাটি বোঝাই ট্রাক্টর আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গেছে ।
ঠিক এই এলাকায় একটি গাড়ি ওজন করার কাঁটার আড়ালে চলছিল অবৈধ বালি কারবার। সেই খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছান পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধক্ষ্য ও সদস্যরা। সেখানে তারা দেখেন প্রায় এক থেকে দেড় হাজার সিএফটিরও বেশি অবৈধ বালি মজুদ করা রয়েছে। তাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে ভূমি দপ্তরের আধিকারিকরা সেখানে চলে আসেন।
এই প্রসঙ্গে জামুরিয়া পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ উদীপ সিং বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া নির্দেশ দিয়েছেন যে কোনভাবে কোন জায়গায় অবৈধ কারবার করতে দেওয়া যাবে না। তারপর আমরা গোটা এলাকায় কড়া নজরদারি শুরু করেছিলাম। আমাদের কাছে খবর ছিলো যে, কিছু অসাধু ব্যক্তি রাতের অন্ধকারে বা কখনো দিনেরবেলায় মাটি ও বালি পাচার করছে। কিন্তু এর আগে বেশ কয়েকবার আমরা চেষ্টা করেও তাদেরকে ধরতে পারিনি। রবিবার আমরা আচমকাই অভিযান চালিয়ে চারটি অবৈধ মাটি বোঝাই ট্রাক্টর আটক করেছিলাম। পরে সেগুলিকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলাম। এদিন আমরা দুটি মাটি বোঝাই ডাম্পার হাতেনাতে ধরে ফেলি। সেগুলো ইটভাঁটায় যাচ্ছিলো। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। উদীপবাবু আরো বলেন, ধসল মোড়ে খাস জমি দখল করে গাড়ি ওজন করার কাঁটা তৈরি করা হয়েছিলো। আবার সেই কাঁটার আড়ালে প্রচুর পরিমাণে অবৈধ বালি মজুদ ছিলো। এই বালি কিভাবে এখানে এলো ও এই অবৈধ বালি মজুদের সঙ্গে কারা যুক্ত সেই বিষয়ে তদন্ত করার জন্য ভূমি দপ্তর ও পুলিশকে জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
উদীপবাবু বলেন, এই জামুড়িয়া ব্লকে দ্রুত যত সরকারি জমি দখল করা হয়েছে, তা সব দখল মুক্ত করা হবে। কোন রকম বেআইনি কারবার চলতে দেওয়া হবে না।