দুর্গাপুরকে জবরদখল মুক্ত করতে উচ্ছেদ হবেই, সাফ জানালেন আড্ডার চেয়ারম্যান ও পুর প্রশাসক
বেঙ্গল মিরর, দুর্গাপুর, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ( Durgapur News Updates ): “ দুর্গাপুর শহরকে জবরদখল মুক্ত করার চেষ্টা শুরু হয়েছে। তারজন্য সবার কাছে সাহায্য চাওয়া হচ্ছে। দুর্গাপুরকে সুন্দর শহরে পরিণত করতে হলে প্রয়োজন সবার সাহায্য। কোন অবস্থাতেই জবর দখল মেনে নেওয়া যাবে না। উচ্ছেদ করা হবেই। তবে আগে থেকে নিয়ম মেনে মাইকিং করে, নোটিস দেওয়া হচ্ছে। যাতে জবরদখলকারীরা সহজেই নিজেদের সামগ্রী সরিয়ে নিতে পারেন। ঠিক এভাবেই নিজেদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন জানি দিলেন আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ বা আড্ডার সদ্য নিযুক্ত চেয়ারম্যান কবি দত্ত।
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে দূর্গাপুর পুরনিগমের প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় বলেন, কতটা জায়গা দখল হয়ে আছে ও উচ্ছেদের পরেও বারবার দখল হচ্ছে, কতটা জমি কার দখল হয়ে আছে, এই সবকিছু সমীক্ষা করে আগে দেখা হবে। তবে সবার সাহায্য না পেলে এই কাজে কোন সদর্থক সাফল্য পাওয়া যাবে না। তাই সবার কাছেই সাহায্য চাওয়া হচ্ছে ।
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে আড্ডা ও দূর্গাপুর পুরনিগম একসুরেই বলে দিলো বেআইনি দখল মেনে নেওয়া যাবে না ।
আড্ডার চেয়ারম্যান কবি দত্ত বলেন, রাস্তার দুপাশে ঠেলা বা গুমটি বা চাটাই দিয়ে দোকান বা কিছু করে নিলাম, উচ্ছেদ হল আর রাস্তার উলটো দিকে বসে গেলাম মেনে নেওয়া যাবে না। সরকারের এই জমির বাবদ কোন আয় হয় না। যা হচ্ছে তা হল বেকারত্বের নাম দিয়ে সরকারি জমি দখল করে বসে যাওয়া ও ব্যবসা করে খাওয়া। এই সবকিছু মেনে নেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, দুর্গাপুর পুরনিগম এলাকায় শুধু মাত্র আড্ডার জমি নেই। রয়েছে সেইল, সার কারখানা , ডিপিএল ও ডিভিসির জমি। এরজন্য সবার সঙ্গে এক হয়ে চালানোর জন্যই ওয়াটস্ অ্যাপ গ্রুপ চালু করা হয়েছে। যাতে সবাই আছেন। যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা সম্মিলিত ভাবেই হবে।
এদিকে, ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া নির্দেশ দেওয়ার পরেই দুর্গাপুরে আড্ডার পক্ষ থেকে মাইকিং করা শুরু হয়েছে। তাতে জবরদখলদারীদের জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, সরকারি জমি দখল করে থাকা চলবে না। সেই জমি থেকে তিনদিনের মধ্যে সরে যেতে হবে। তা না হলে উচ্ছেদ করা ও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।