“প্রধান, উপপ্রধান চোর” লেখা পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য খান্দরা গ্রামে
বেঙ্গল মিরর সার্থক কুমার দে ও চরণ মুখার্জী , অন্ডাল : “প্রধান, উপপ্রধান চোর” লেখা পোস্টার পড়লো খান্দরা গ্রামে । রবিবার পোস্টার গুলি দেখা যায় গ্রামের বিভিন্ন জায়গাতে । এটা তৃণমূল দলের দ্বন্দ্বের বহিঃপ্রকাশ বলে অভিযোগ বিরোধীদের । অভিযোগ অস্বীকার শাসকদলের ।
দিন কয়েক আগে খান্দরা গ্রাম পঞ্চায়েতে দলের প্রধান, উপপ্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচার নিয়ে সরব হয়েছিল তৃণমূল দলেরই নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যদের একাংশ । এক সপ্তার মধ্যে দু-দুবার পঞ্চায়েত অফিসের কার্যালয়ের গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখায় তারা ।
প্রধান, উপপ্রধানের পদত্যাগের দাবিও জানান তারা ।প্রধান, উপপ্রধানের বিরুদ্ধে দলেরই পঞ্চায়েত সদস্যদের একাংশ দুর্নীতির অভিযোগে সোচ্চার হাওয়ায় অস্বস্তিতে পরে শাসকদলের নেতৃত্ব । সেদিন তৃণমূল দলের ব্লক সভাপতি কালোবরণ মন্ডল জানিয়েছিলেন বিষয়টি জেলা সভাপতিকে জানানো হয়েছে । দ্রুত আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করা হবে । কিন্তু এদিন ফের পোস্টার পড়ায় প্রমাণিত হলো বিরোধ মেটেনি এখনো ।
মঙ্গলবার সকালে খান্দরা বাস স্ট্যান্ড, বটতলা, শিবতলা সহ গ্রামের বিভিন্ন জায়গাতে সাদা কাগজের উপর কালো কালিতে ছাপানো ‘প্রধান, উপপ্রধান চোর” লেখা পোস্টার গুলি চোখে পড়ে বাসিন্দাদের । তবে ছাপানো পোস্টার এর নিচে প্রেরকের নাম না লেখা থাকায় তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি ।
উপপ্রধান গণেশ বাদ্যকর বলেন যারা কাজ করে তাদের সমালোচনা হয়, আমরা কাজ করছি তাই সমালোচনা হচ্ছে আমাদের । দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে পদত্যাগ করব বলে জানান তিনি । পোস্টার কাণ্ডে দলেরই একাংশ জড়িত বলে ইঙ্গিত দেন গণেশ বাবু । অন্যদিকে দলের অন্তরে গণেশ বাবুর বিরোধী হিসাবে পরিচিত আশীষ ভট্টাচার্য বলেন প্রধান, উপপ্রধানের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযোগ রয়েছে ঠিকই । কিন্তু পোস্টার কাণ্ডে আমাদের হাত নেই । দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়াতে এই কাজ বিরোধীরা করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি । পাশাপাশি তিনি বলেন যাদের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছে তাদের উচিত থানায় এফআইআর করা । খান্দরা পঞ্চায়েতে দলের অন্তরের দ্বন্দ নিয়ে ক্রমশ অস্বস্তি বেড়েই চলেছে শাসকদলের পোস্টার কাণ্ডে সেরকমই ইঙ্গিত রয়েছে বলে মদ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ।