মাতৃভাষায় শিক্ষার অধিকার আদায়ের দাবিতে টিডিবি কলেজের সামনে অনশন শুরু আদিবাসী দিশম গাঁওতার
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ : আঠাশে জুন বিক্ষোভ আন্দোলন ও প্রতিবাদের পর, এবার ফের সাঁওতালি বিভাগে অলচিকি হরফে, শিক্ষার অধিকার পেতে রানীগঞ্জের দীর্ঘ প্রাচীন কলেজগুলির অন্যতম, ত্রিবেণী দেবী ভালোটিয়া কলেজের বাইরেই এবার অনশন মঞ্চ করে, মাতৃভাষায় শিক্ষার অধিকার আদায়ের দাবিতে, প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করলেন, ফাইট ফর মাদার টাং নামক কর্মসূচির মাধ্যমে। আদিবাসী দিশম গাঁওতার সদস্যদের সঙ্গেই বহু আদিবাসী সংগঠন এই কর্মসূচিতে সামিল হন।
এদিন তারা ধামসা, মাদল সঙ্গে নিয়ে, অসংখ্য মহিলা, পুরুষ আদিবাসী পোশাকে সুসজ্জিত হয়ে, কলেজ গেটের বাইরে স্লোগান তুলে বিক্ষোভ কর্মসূচি চালিয়ে যায়। তারা একদিন বেলা ১২ঃ০০ টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত কলেজ গেটের বাইরে অনশন মঞ্চে ধরনা দেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি টিডিবি কলেজ কর্তৃপক্ষ যতক্ষণ না তাদের এই দাবি পূরণ না করছেন, ততদিন পর্যন্ত তারা তাদের অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।
এদিনের এই অনশন কর্মসূচিতে জেলা থেকে আদিবাসী সংগঠনের বহু নেত্রী স্থানীয়রা এসে উপস্থিত হন। তারা দাবি করেন, পরিকল্পিতভাবে আদিবাসীদের বঞ্চিত করার জন্য টিডিবি কলেজে শিক্ষার পরিকাঠামো থাকার পরও এই শিক্ষাদানের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। আর এটা শুধুমাত্র পরিচালন কমিটির সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করার কারণেই হয়েছে বলেই দাবি করেছেন তারা। সেখানেই এদিন রানীগঞ্জের ত্রিবেণী দেবী ভলেন্টিয়ার কলেজে মাতৃভাষার শিক্ষার অধিকার আদায়ের এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে করা এই অনশন প্রসঙ্গে টিচার ইনচার্জ মবিনুল ইসলাম কোন মন্তব্য করেননি। তার দাবি কলেজ কর্তৃপক্ষর তরফে ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিয়ে, এই সাঁওতালি ভাষায় পড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । তবে তা কলেজের ওন ফান্ডের টাকায় করতে হবে বলেই জানানো হয়। আর এতেই বেঁকে বসেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
তাদের দাবি কেন্দ্র সরকারের ও শিক্ষানীতি দ্বারা পরিচালিত কলেজ গুলির ক্ষেত্রে পূর্বে এই শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও তা কার্যকর সে সময় না হওয়ায় এই শিক্ষার কাঠামো এখনো তৈরি করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তবে বিষয়টিকে নিয়ে তারা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিক্ষা দপ্তরে আবেদন জানিয়েছেন বলেই জানান টিচার ইনচার্জ। তবে আন্দোলনকারীরা এদিন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে কোন রূপ ভাবেই তারা তাদের দাবি আদায় করে ছাড়বেন এর জন্য তারা লাগাতার অনশনে যেতেও রাজি আছেন। তাদের দাবি প্রতিদিন প্রতিটি ব্লকের প্রতিনিধিরা মাতৃভাষায় শিক্ষা লাভের এই মঞ্চে ধরর্না প্রদর্শন করবেন।