ASANSOL

ডোমজুড় সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় আসানসোল যোগ, বিহার থেকে ” চাচী ‘ গ্রেফতার

পুলিশের হাতে নতুন তথ্য, তদন্ত শুরু

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়, দেব ভট্টাচার্য ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ হাওড়ার ডোমজুড়ে সোনার দোকানে ডাকাতির পরিকল্পনা কি আসানসোলে করা হয়েছিল? বিহার থেকে এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক মহিলা গ্রেফতার হতেই এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশের হাতে এসেছে। সেই সূত্র ধরেই তদন্তে নেমেছে পুলিশ।রানিগঞ্জে গত ৯ জুন একটি সোনার দোকানে ডাকাতির কয়েকদিন পর হাওড়ার ডোমজুড়ে একটি সোনার দোকানে ডাকাতি হয়। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় বিহার থেকে আশা দেবী মাহাতো নামে এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে হাওড়া পুলিশ। এই মহিলা ” চাচী ” নামে পরিচিত। তাকে এদিন হাওড়া আদালতে পেশ করা হয়।

এদিন হাওড়ার পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তিন মাস ধরে আসানসোলে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন এই মহিলা।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে , আশা দেবী আসানসোলের মহিশীলা কলোনির তিন নম্বর চাষা পট্টিতে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। তার সঙ্গে থাকতেন এক শিশু ও দুই যুবক। তিনি বাড়িওয়ালাকে বলেছিলেন, তারা পাথর খাদানে কাজ করেন। বাড়ির মালিক ঋষিকেশ সাহা বলেন, তিনমাস ওরা আমার বাড়িতে ভাড়া ছিল। এক পরিচিত আমার ফাঁকা বাড়ি ভাড়ায় দেওয়ার কথা বলে। ঐ মহিলা একা থাকার কথা প্রথমে বলায়, আমি ভাড়া দিতে চাইনি। তখন বলা হয়, সে একা নয়, তার সঙ্গে এক শিশু ও দুই যুবক থাকবে। তারা পাথর খাদানে লোডিং আন লোডিংয়ের কাজ করে বলেছিল। আমি আধার কার্ডের জেরক্স চাই। তখন ঐ মহিলা একটা জেরক্স দেয়। কিন্তু তা অস্পষ্ট হওয়ায়, আমি ভালো চাই। তখন তারা বলেছিলো পরে দেবে।

এরপর আমি চিকিৎসার জন্য চেন্নাই চলে যাই। এখন তো এই শুনছি। স্বাভাবিক ভাবেই ডাকাতির ঘটনায় মহিলা গ্রেফতার খবর শুনে আতঙ্কিত বাড়ির মালিক। চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। প্রসঙ্গতঃ, রানিগঞ্জের ডাকাতির ঘটনায় ইতিমধ্যেই স্থানীয় এক লিঙ্ক ম্যান সহ বিহারের বাসিন্দা চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপরে, পুলিশ সন্দেহ করছে যে দুটি ডাকাতির ঘটনার মধ্যে কোন সংযোগ থাকলেও থাকতে পারে। আসানসোলেই বসে ডাকাতির পরিকল্পনা হয়েছিল কিনা, পুলিশ তা খতিয়ে দেখতে তদন্তে নেমেছে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *