পশ্চিম বর্ধমান জেলায় দুসপ্তাহে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ১৮, সতর্ক থেকে সচেতনতার প্রচার স্বাস্থ্য দপ্তরের
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দোপাধ্যায় : ( Dengue In Paschim Bardhaman ) পশ্চিম বর্ধমান জেলায় গত দু’সপ্তাহে বা ১৪ দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ জন। তার মধ্যে আসানসোল পুরনিগম এলাকায় আক্রান্তর হার সবচেয়ে বেশি। আসানসোল পুরনিগম এলাকায় ১২ জন ডেঙ্গু আক্রান্তর হদিশ পাওয়া গেছে।দূর্গাপুর পুর এলাকায় এই সময়ের মধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৩ জন। এছাড়াও পশ্চিম বর্ধমান জেলার সালানপুর, কাঁকসা ও ফরিদপুর – দূর্গাপুর ব্লকে ১ জন করে মোট ৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে বলে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বা সিএমওএইচ ডাঃ ইউনুস খান বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন।
প্রত্যেকের চিকিৎসা চলছে। তাদের শারীরিক অবস্থা আপাততঃ স্থিতিশীল বলে জানা গেছে।
এই মুহুর্তে পশ্চিম বর্ধমানের দুই পুর এলাকা ও আটটি ব্লকে ডেঙ্গুর প্রকোপ বড়সড় আকার না নিলেও, সতর্ক ও সজাগ রয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যে ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে সচেতন করছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। শহর ও গ্রাম দুই এলাকাতে স্বাস্থ্য কর্মীরা নজরদারি করছেন ও খোঁজখবর নিচ্ছেন যে, কারোর ডেঙ্গুর উপসর্গ আছে কিনা।
আসানসোল পুরনিগমের স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ দীপক গাঙ্গুলি এদিন বলেন, আসানসোল পুরনিগম এলাকায় গত দু সপ্তাহে ১২ জন ডেঙ্গু আক্রান্তর খোঁজ মিলেছে। তার মধ্যে একজন পড়ুয়া ব্যাঙ্গালুরু থেকে এসেছেন। আর একজন দিনমজুর। যিনি চেন্নাইতে কাজে ছিলেন। দুজনেই আসানসোল পুরনিগম এলাকার বাসিন্দা। তিনি আরো বলেন, আমরা সব জায়গায় নজরদারি করছি। যা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া তা নেওয়া হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে এদিন জেলার সিএমওএইচ বলেন, জেলার দুটি মহকুমায় ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে দুটি বৈঠক করা হয়েছে। রাজ্যের ডেঙ্গু নিয়ে যে নির্দেশিকা আছে তা প্রত্যেককে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোথাও জলে জমে আছে কি না তার খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। পরিত্যক্ত বাড়ি ও নির্মীয়মাণ বাড়িতে জল জমে আছে কি না তা দেখা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, গোটা বিষয়টি নিয়ে জেলার প্রশাসনিক স্তরে আরো একটি করা হবে। সেই বৈঠকে পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক এস পোন্নাবলমকে থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তিনি সময় দিলেই দ্রুত তা করা হবে।