ASANSOL

KNU News : পড়ুয়াদের ভর্তির স্বার্থে তালা  খুললো রেজিস্টারের চেম্বার, এখনো বন্ধ উপাচার্যের অফিস

কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে টিএমসিপির আন্দোলনের ১০ দিন

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়, দেব ভট্টাচার্য ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ আসানসোলের কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ বা টিএমসিপির বিক্ষোভ আন্দোলন বৃহস্পতিবার ১১ দিনে পড়লো। বিক্ষোভকারী টিএমসিপির কর্মী সমর্থক ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি, গত ৮ জুলাই সোমবার থেকে তাদের আন্দোলন শুরু হয়েছে। মাঝে তিনদিন শনিবার ও রবিবার ও বুধবার মহরম থাকায় তারা আন্দোলন করেনি। এই আন্দোলনের প্রথম দিন থেকে রেজিস্টার চন্দন কোনারের অফিস চেম্বারে বিক্ষোভকারী ছাত্র-ছাত্রীরা যে তালা লাগিয়েছিল, সেই তালা অবশ্য এদিন খুলে দেওয়া হয়। তবে এদিন অবশ্য ভাইস চ্যান্সেলার ( ভিসি) বা উপাচার্য ডাঃ দেবাশীষ বন্দোপাধ্যায়ের সচিবালয় এবং তার চেম্বারে যে তালা লাগানো হয়েছিলো, তা এদিন খোলা হয়নি।


এদিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি অভিনব মুখোপাধ্যায় বলেন, উপাচার্য এদিন আসেননি। উনি এলে আমাদের প্রথম দিন থেকে যে দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছিলাম, তা জানতে চাইতাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে নেওয়া বিপুল পরিমাণ টাকা আইনি লড়াইয়ের জন্য যেভাবে ব্যবহার করা হয়েছে সেই হিসেবের তথ্য সহ শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে। আর যাদের জন্য ৫০ লক্ষ থেকে ৮০ লক্ষ টাকা আইনি খাতে ব্যয় হয়েছে তাদের কাছ থেকে সেই টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করতে হবে। এটা না করা পর্যন্ত আমরা উপাচার্যকে তার অফিসে ঢুকতে দেব না।

অভিনবর কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয় রেজিস্টারের অফিসে আপনারা যে তালা মেরেছিলেন, সেটা খুলে দিয়েছেন কেন? উত্তরে অভিনব জানায়, এর অন্যতম কারণ হলো ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থ। এখন অনেক নতুন ছাত্র-ছাত্রীরা ভর্তি হতে আসছেন। তারা বা তাদের অভিভাবকদের যাতে কোন অসুবিধা না হয়, সেজন্য আমরা রেজিস্টারের ঘরের তালা খুলে দেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ আমরা আন্দোলন করছি তো ছাত্রছাত্রীদের জন্য। তবে উপাচার্যের বিরুদ্ধে আমাদের এই আন্দোলন চলবে।
অন্যদিকে এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে আসা ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকেরা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এই সিদ্ধান্তে খুশি। তারা জানান, আমাদের ভর্তি ক্ষেত্রে এদিন কোন অসুবিধা হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *