অবৈধ জলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে নড়েচড়ে বসল পিএইচই দপ্তর
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ : এবার অবৈধ জলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে নড়েচড়ে বসল পি এইচ ই দপ্তর। গ্রামীণ এলাকা ও বস্তি এলাকার বিভিন্ন অংশে জল সংকটের বিষয় লক্ষ্য করে ও জল সরবরাহের পাইপ লাইনে অবৈধভাবে সংযোগ ঘটিয়ে এলাকায় একের পর এক হোটেল কারখানা সহ একাধিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান পি এইচ ই দপ্তরের কাছে কোন অনুমোদন না নিয়ে জল সংযোগ নেওয়ায় জল সরবরাহের ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্ভোগ পড়তে হয়েছে সকলকে। আর এই সকল বিষয়ের প্রেক্ষিতে এবার জামুড়িয়া ব্লকের পরপর দুইদিন চলল অবৈধ জলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে অভিযান।
প্রথম দিন তারা বৃহস্পতিবার পাঞ্জাবি মোড়ের নিচে থেকেই কেন্দা ,হরিপুর পর্যন্ত লক্ষ্য করে প্রায় কুড়িটিরও বেশি হোটেল ব্যবসায়ী ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে অবৈধভাবে জল সংযোগ নেওয়ার বিষয় লক্ষ্য করে। তাদের বৃহস্পতিবার এই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশও দেওয়া হয়। পরবর্তীতে শুক্রবার ওই সকল অংশে যে সকল ব্যবসায়ীরা তাদের জল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেননি তাদের পি এইচ ই দপ্তরের কর্মীরা গিয়ে সেই সকল অংশে জল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তারা।
সেখানেই শুক্রবার জামুরিয়া ব্লকেরই শ্রীপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার বিস্তীর্ণ অংশে হোটেল ও বিভিন্ন দোকানে তল্লাশি করে তারা অবৈধভাবে জল সংযোগ ঘটানোর বিষয় প্রত্যক্ষ করেন। জানা গেছে ছোটখাটো কোন গ্যারেজ, দোকান বা হোটেলে শুধু নয় বড় বড় হোটেলেও অবৈধভাবে পিএইচই দপ্তরের জল সংযোগ নেওয়া হয়েছে। এ সকল হোটেল গুলিতে শুক্রবারে নোটিশ জারি করে অবিলম্বে তাদের জল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর আগামীতে পুনরায় এ ধরনের অবৈধভাবে জলের সংযোগ নেওয়ার বিষয় লক্ষ্য করা হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইনি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে তাদের। জানা গেছে জামুরিয়া ব্লকের বেশ কয়েকটি বড় কলকারখানাতেও অবৈধভাবে জলের সংযোগ নেওয়া হয়েছে সেটা কিভাবে সম্ভব হল ও কারাই বা তাদের এই অবৈধ জলের সংযোগ দিতে সাহায্য করেছিল সে সকল বিষয়গুলিও খতিয়ে দেখছেন পি এইচ ই বিভাগের আধিকারিকেরা।