আসানসোল পুরনিগম এলাকায় ডেঙ্গুর মোকাবিলায় আগাম তৎপরতা, মেয়র ও জেলাশাসকের উপস্থিতিতে বৈঠক
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ বর্ষা এলেই ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা যায় আসানসোল পুরনিগম সহ গোটা শিল্পাঞ্চল জুড়ে। এ বছর ডেঙ্গুর হাত থেকে পুরনিগমের ১০৬ টি ওয়ার্ডের মানুষদেরকে বাঁচাতে প্রশাসন পুরোপুরি তৎপর হয়ে উঠেছে।
আসানসোল পুর এলাকার ডেঙ্গুর মোকাবিলা ও তার আগাম প্রস্তুতিতে শুক্রবার আসানসোল পুরনিগমের আলোচনা হলে পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য দপ্তর ও পুরনিগমের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে উচ্চ পর্যায়ে একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়, জেলাশাসক এস পোন্নাবলম, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বা সিএমওএইচ ডাঃ ইউনুস খান, পুর কমিশনার রাজু মিশ্র, এডিএম (স্বাস্থ্য) আসানসোল পুরনিগমের মেয়র পারিষদ ( স্বাস্থ্য) দিব্যেন্দু ভগৎ, পুরনিগমের দুই হেল্থ অফিসার ও স্বাস্থ্য দফতর, জেলা প্রশাসন ও পুরনিগমের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিনের বৈঠকে গত বছরের ডেঙ্গুর পরিসংখ্যানকে সামনে রেখে বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করা হয়। এখনো পর্যন্ত আসানসোল পুরনিগম এলাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ তেমন ভাবে বাড়েনি। তবুও সব আধিকারিক ও কর্মীদেরকে ডেঙ্গুর মোকাবিলায় কি কি করতে হবে তা এদিনের বৈঠকে বলে দেওয়া হয়েছে।
পরে মেয়র ও জেলাশাসক সাংবাদিকদের জানান, ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে কি করতে হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মেয়র বলেন, গত বছর যেসব স্থানে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি ছিল সেসব স্থানে পুরনিগমের স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীদেরকে বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি যেসব এলাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি ছিল না সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য সাফাইয়ের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। একজন মানুষ যাতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত না হন, তা দেখাই আমাদের লক্ষ্য।
আসানসোল পুরনিগমের স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, ১৩ জুলাই পর্যন্ত পুর এলাকায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ছিলেন ৯ জন। তাদের চিকিৎসা চলছে। বাকি আগে যারা আক্রান্ত হয়েছিলেন, তারা চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে গেছেন।