আসানসোল রবীন্দ্র ভবনের ভাড়া কমানো ও পরিকাঠামো উন্নতির দাবি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ আসানসোল এবং বার্নপুর এলাকার ৩০ টির মতো সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা মঙ্গলবার আসানসোল পুরনিগমে এসে মেয়র পারিষদ গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায়ের সাথে দেখা করেন। তারা আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনকে আরও উন্নত করা এবং রবীন্দ্র ভবনের ভাড়া সমস্ত সংগঠনের নাগালের মধ্যে রাখার অনুরোধ জানিয়ে তাকে একটি চিঠি দেয়। এই চিঠিতে রবীন্দ্র ভবনের ভাড়া সবার নাগালের মধ্যে রাখা এবং রবীন্দ্র ভবনের উন্নতির দাবি জানান ।
সংগঠনগুলির তরফে আসা অন্যতম প্রতিনিধি রুদ্র প্রসাদ চক্রবর্তী জানান। এদিন যেসব সাংস্কৃতিক সংগঠন আসানসোল পুরনিগমের মেয়র পারিষদ গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে, তার মধ্যে আছে আসানসোল চর্যাপদ, আসানসোল প্রত্যয়ী ও ললিত ড্যান্স সেন্টার। তিনি আরো বলেন, মেয়র পারিষদ আমাদের কথা শুনেছেন। আমাদের দাবি মেয়রের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে এবং এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
রুদ্রপ্রসাদ চক্রবর্তী আরো বলেন, আগামী দিনে এইসব বিষয় নিয়ে মেয়র বিধান উপাধ্যায়ের সঙ্গেও দেখা করে হবে। তাকে অসুবিধার কথা বলা হবে।
এই বিষয়ে মেয়র পারিষদ গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, আগে রবীন্দ্র ভবনের জন্য ৫ হাজার টাকা ভাড়া নেওয়া হতো। কিন্তু সব ধরনের খরচ বেড়ে যাওয়ায় এখন রবীন্দ্র ভবনে অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ১০ হাজার টাকা ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। বেশকিছু সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা আমার সঙ্গে দেখা করে অনুরোধ করে বলেছেন, রবীন্দ্র ভবনে বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কিন্তু এতো ভাড়ায় তাদের তা করতে সমস্যা হচ্ছে। তাই আসানসোল পুরনিগম ভাড়া নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করুক।
গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় জানান, এই সব কথা মেয়র বিধান উপাধ্যায়কে জানানো হবে। এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন। কোন কিছু একটা ব্যবস্থা নেওয়া হবে যাতে রবীন্দ্র ভবনে সবাই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারে। এটা সত্য যে রবীন্দ্র ভবনের মতো এতো বড় অডিটোরিয়ামে কোন বড় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করার মতো কোনো সাউন্ড সিস্টেম নেই। এটা করতে হলে কমপক্ষে ৫ লক্ষ টাকা খরচ হবে। বর্তমানে সেই টাকা খরচ করার মতো ফান্ড আসানসোল পুরনিগমের কাছে নেই৷ তবে রবীন্দ্র ভবনের পরিকাঠামোর আরো উন্নয়নের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।