ASANSOL

টাকা চুরি নিয়ে বিবাদ, গন্ডগোলে মৃত্যু এক ব্যক্তির, শাবল দিয়ে মারার অভিযোগ প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে

বেঙ্গল মিরর, কুলটি ও আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ টাকা চুরি নিয়ে বিবাদ থেকে গন্ডগোল। সেই ঘটনায় শাবলের মারে পড়ে মৃত্যু হলো এক ব্যক্তির। এলাকার বাসিন্দা বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে শাবল দিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার বিকেলের এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ির লছিপুর এলাকায়। মৃত ব্যক্তির নাম কৃষ্ণা গোস্বামী (৪৮)। সন্ধ্যায় গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে জনা পাঁচেক যুবকের বিরুদ্ধে পরিবারের তরফে নিয়ামতপুর ফাঁড়িতে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।


জানা গেছে, কুলটির নিয়ামতপুর ফাঁড়ির লছিপুর এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকেন কৃষ্ণা গোস্বামী। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঐ ব্যক্তির ছোট ছেলে টাকা চুরি করেছে, এই নিয়ে এলাকার চাপা উত্তেজনা ছিলো। অভিযোগ, এলাকার বাসিন্দা জনৈক রায়না, বুলু, সুভাষ, বৃন্দা ও উত্তম নামে যুবকেরা কৃষ্ণার ছোট ছেলেকে খুঁজছিলো। বিকেলের দিকে ঐ যুবকেরা তাকে খুঁজতে সেখানে আসে। তখন কৃষ্ণা তার ছোট ছেলেকে তাদের সামনে নিয়ে আসে ও জানতে চায়, সে কার কি টাকা চুরি করেছে? তখন সেখানে কৃষ্ণার স্ত্রী ও অন্য ছেলেরা এবং প্রতিবেশীরা ছিলেন।

অভিযোগ, তখন ঐ যুবকেরা কৃষ্ণার ছোট ছেলেকে মারতে মারতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। ঐ যুবকদের হাতে শাবল, লোহার রড সহ অন্য জিনিস ছিলো। নিজের ছোট ছেলেকে বাঁচাতে, যুবকদের বাধা দেয়। তখন, ঐ যুবকেরা শাবল দিয়ে কৃষ্ণাকে মারে। শাবলের মারে কৃষ্ণা রাস্তায় পড়ে অচৈতন্য হয়ে যান। তা দেখে যুবকেরা এলাকা ছেড়ে পালায়। ছেলেরা রক্তাক্ত অচৈতন্য কৃষ্ণা গোস্বামীকে বিকেল পাঁচটা নাগাদ আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

অন্যদিকে, কৃষ্ণার স্ত্রী মুন্নিদেবী সহ অন্যান্যরা নিয়ামতপুর ফাঁড়িতে চলে আসেন অভিযোগ জানাতে।
কৃষ্ণার স্ত্রী মুন্নিদেবী ও মেজ ছেলে গোবিন্দ গোস্বামী অভিযোগ করে বলেন, বুলু ও সুভাষেরা টাকা চুরির মিথ্যে কথা বলছে। ছোট ছেলে যখন দোকানে গেছিলো, তখন তাকে ওরা ধরেছিলো। পরে বিকেলে আবার আসে। সেই সময় ওরা আমাদের উপর শাবল, লোহার রড নিয়ে চড়াও হয়। কৃষ্ণাকে শাবল দিয়ে মারে। তাতে তার মৃত্যু হয়।


এই ঘটনা যার দোকানের সামনে ঘটেছে অর্থাৎ অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী সন্ধ্যা বাউরি বলেন, বুলু, সুভাষরা বলছিলো কৃষ্ণ গোস্বামীর ছোট ছেলে ২২০ টাকা চুরি করেছে। আমি বারবার বলছিলাম ঐ ছেলে টাকা চুরি করতে পারেনা। কিন্তু ওরা আমার কোন কথা শোনেনি। ঐ ছেলেটাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলো। তখন কৃষ্ণ বাধা দেয়। তখন তাকে শাবল দিয়ে মারা হয়। তাতে সে পড়ে যায়।


কুলটির এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, একটা গন্ডগোল হয়েছিলো নিয়ামতপুর এলাকায়। তাতে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের তরফে তাকে শাবল দিয়ে মারা হয়েছে বলে কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। কাউকে গ্রেফতার করা হয় নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *