আসানসোলে গাড়ুই নদীতে তলিয়ে ও জলে ভেসে তিনজনের মৃত্যু, বাড়িতে গিয়ে শ্রদ্ধা মন্ত্রী মলয় ঘটকের
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ টানা বৃষ্টিতে আসানসোলের তিনটি জায়গায় গাড়ুই নদীতে তলিয়ে ও জলে ভেসে গিয়ে শুক্রবার তিনজনের মৃত্যু হয়। শনিবার তিনজনের বাড়িতে গিয়ে মৃতদেহে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাজ্যের শ্রম ও আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক। তিনজনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে মন্ত্রী তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
প্রসঙ্গতঃ, বৃহস্পতিবার বিকেলের পর থেকে লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে আসানসোল শহর তথা গোটা শিল্পাঞ্চল জুড়ে। এই বৃষ্টির কারণে আসানসোল শহর জলমগ্ন হয়ে পড়ে। গাড়ুই নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় রেলপার সহ বহু জায়গা জলমগ্ন হয়ে পড়ে এরমধ্যেই শুক্রবার সন্ধ্যায় আসানসোল দক্ষিণ থানা এলাকার কল্যাণপুর হাউজিং এলাকার ব্রিজ দিয়ে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় সুগম পার্কের বাসিন্দা চঞ্চল বিশ্বাস (৫৯) গাড়ুই নদীতে তলিয়ে যান। শনিবার সকালে এনডিআরএফের একটি টিম কল্যাণপুর ব্রিজ থেকে কিছুটা দূরে তার গাড়ি দেখতে পায় ও সেখান থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এদিন দুপুরে ময়নাতদন্তের পরে পরিবার তার মৃতদেহ সুগাম পার্কে বাসভবনে নিয়ে আসে। মন্ত্রী মলয় ঘটক তাকে শ্রদ্ধা জানাতে তার বাসভবনে যান। উপস্থিত ছিলেন আসানসোল পুরনিগমের বোরো চেয়ারম্যান অনিমেষ দাস, কাউন্সিলর শ্রাবণী মন্ডল প্রমুখ।
একইভাবে আরো দুটি পৃথক ঘটনায় আসানসোলের রেলপারের ডিপোপাড়ার রোহিত রায় নামে এক যুবক শুক্রবার সুকান্ত পল্লী এলাকায় অস্থায়ী সেতু থেকে পা পিছলে গাড়ুই নদীতে পড়ে যায়। শনিবার সকালে তার দেহ উদ্ধার করা হয়।
অন্যদিকে, আসানসোলের রাহালেনের গৌরাঙ্গ রায় শুক্রবার কালিপাহাড়ি কোলিয়ারি থেকে কাজ শেষে মোটরবাইকে বাড়ি ফেরার পথে কালিপাহাড়ি রেল ব্রিজে জলের তোড়ে ভেসে যান। শনিবার তারও দেহ উদ্ধার হয়।
এদিন বিকেলে ও সন্ধ্যায় মন্ত্রী মলয় ঘটক দুজনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানান ও মৃতদেহে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। মন্ত্রী তিনজনেরই পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।