ASANSOL

আসানসোলে পরিত্যক্ত খাদানের জলে ডুবে পড়ুয়ার মৃত্যু

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ বন্ধুদের সঙ্গে স্নানে গিয়ে ইসিএলের পরিত্যক্ত খাদানের জলে ডুবে মৃত্যু হলো এক স্কুল পড়ুয়ার। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোল উত্তর থানার কাল্লার ব্লু ফ্যাক্টারীর কাছে। আসানসোল উত্তর থানার রেলপারের তোরি মহল্লার বাসিন্দা মৃত স্কুল পড়ুয়ার ইফতিকার আহমেদ (১৪)।


জানা গেছে, আসানসোলের রেলপারের তোরি মহল্লার বাসিন্দা ইফতিকার আহমেদ আসানসোল ডিএভি পাবলিক স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়তো। এদিন সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ সে বাড়িতে মাকে বলে যায় যে, সে বন্ধুদের সঙ্গে স্নান করতে যাচ্ছে। এই বলে সে সাইকেল নিয়ে চলে যায় বেশ কয়েক কিলোমিটার দূরে কাল্লার ব্লু ফ্যাক্টারীর কাছে পরিত্যক্ত খাদানে। পরে এলাকার বাসিন্দারা ঐ খাদানের জলে তার দেহ ভাসতে দেখেন। খবর দেওয়া হয় আসানসোল উত্তর থানায়। খবর পেয়ে পুলিশ এলাকায় আসে।

এদিকে দুপুর তিনটে পর্যন্ত বাড়িতে দুপুরের খাবার খেতে না, আসায় তার মা ইফতিকারের বাবা মহঃ ফকরুজাম্মানকে ছেলের বাড়িতে না কথা বলে। তখন তিনি ছেলের মোবাইলে ফোন করেন। বেশ কিছুক্ষন পরে ফোন একজন পুলিশ অফিসার ধরেন। তিনি ইফতিকারের বাবাকে গোটা ঘটনার কথা বলেন। ঘন্টা দুয়েকের চেষ্টা বিকেল পাঁচটা নাগাদ তাকে পুলিশ ইফতিকারকে উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে চিকিৎসক পরীক্ষা করে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে জেলা হাসপাতালে ইফতিকারের বাবা আসেন। তিনি ছেলের দেহ সনাক্ত করেন।

তিনি বলেন, এতদূরে ছেলে কি করে গেলো বুঝতে পারছি না। ওখানে গিয়ে দেখি খাদানের পাড়ে ছেলের সাইকেল, মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ পড়ে আছে। ছেলের কোন বন্ধু সেখানে নেই। বুঝতে পারছি না কি করে এই ঘটনা ঘটলো। ছেলে সাঁতারও জানতো না বলে দাবি তার। স্বাভাবিক ভাবেই ছেলের মৃত্যুতে তিনি ভেঙে পড়েন। পরিবারেও শোকের ছায়া নেমে আসে।
এদিকে, পুলিশ জানায়, সোমবার সকালে আসানসোল জেলা হাসপাতালে স্কুল পড়ুয়ার মৃতদেহর ময়নাতদন্ত করা হবে। পরে কোন অভিযোগ হলে, তা খতিয়ে দেখা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *