ASANSOL

আসানসোল শহরে হিন্দু জাগরণ মঞ্চে বিক্ষোভ মিছিল, বাংলাদেশে হিন্দুদের উপরে অত্যাচারের প্রতিবাদ

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল,  রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ  প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন হয়। যে কারণে শেখ হাসিনাকে তার পদ থেকে পদত্যাগ করতে দেশ ছাড়তে হয়। পরে তিনি নিজের নিরাপত্তার জন্য তাকে ভারতে আসতে হয়। কেন্দ্র সরকার তাকে আশ্রয় দেয়। কিন্তু বাংলাদেশে সেই সময় শুরু হওয়া আন্দোলন থামার কোন লক্ষনই নেই । সেখানে এখনো প্রতিনিয়ত হিংসার ঘটনা ঘটছে। এইসব ঘটনাগুলি বেশিরভাগ সংখ্যালঘু সম্প্রদায় অর্থাৎ হিন্দুদের লক্ষ্য করা হচ্ছে। 


বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর এই অমানবিক অত্যাচারের প্রতিবাদে শুক্রবার বিকেলে  আসানসোলের জিটি রোডের গীর্জা মোড থেকে রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম মোড় শনি মন্দির পর্যন্ত একটি বিক্ষোভ মিছিল বার করা হয়। হিন্দু জাগরণ মঞ্চ আসানসোল শাখার ডাকে হওয়া এই মিছিলে স্বদেশী জাগরণ মঞ্চ, স্বদেশ বিকাশ কেন্দ্র বনবাসী কল্যাণ মঞ্চ, আরএসএস ও এবিভিপির মতো সংগঠনের সদস্যরা ছিলেন। হিন্দু জাগরণ মঞ্চের এই মিছিলে বিপুল সংখ্যায় মহিলাদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।

এই প্রসঙ্গে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের মধ্য বঙ্গ প্রান্ত সদস্য প্রভাত মুখোপাধ্যায় বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর যেভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে, তাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করা হচ্ছে,  ঘরের নারীদের ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে, এর প্রতিবাদে এদিনের এই প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল করা হয় আসানসোলে জাগরণ মঞ্চের উদ্যোগে।  তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর যেভাবে অত্যাচার হচ্ছে তা মোটেই ভালো নয়। এই অত্যাচার অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। যাতে বাংলাদেশের ওপর আন্তর্জাতিক সমাজের চাপ বাড়ানো যায় সেজন্য তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে কিছু কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানান। হিন্দুদের উপর এই অত্যাচার বন্ধ করা উচিত।  তিনি বিশ্বের সকল হিন্দুকে বাংলাদেশের ঘটনার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানান।


মিছিলে থাকা বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়ও বাংলাদের হিন্দুদের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হন। তিনি বলেন, অবিলম্বে এই ঘটনা বন্ধ করতে হবে। আমরা এই ব্যাপারে কেন্দ্র সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এদিনের মিছিলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সংযোজক তাপস সিংহ, সহসংযোজক অমিত সরকার, হাবু গড়াই ও জয়দীপ মাজি এবং বিজেপির আসানসোল সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক অভিজিৎ রায়।
অন্যদিকে, বিজেপির রাজ্য ট্রেড সেলের কো-কনভেনার সুব্রত ওরফে মিঠু ঘাঁটি এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন। তিনি বলেন, দেশের সীমানা পাহারা দেয় বিএসএফ। বাংলাদেশের একটা বড় সীমানা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। কিন্তু রাজ্য সরকার কেন্দ্র সরকারকে সীমানা রক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে ঠিকমতো সহযোগিতা করছে না। আমাদের দাবি কেন্দ্র সরকার এক্ষেত্রে কড়া মনোভাব নিক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *