ASANSOL

অক্টোবর মাসের মধ্যে বাড়িবাড়ি পৌঁছাবে পানীয় জল

সালানপুর ব্লক কার্যালয়ে জেলা প্রশাসনের তরফে বিশেষ বৈঠক

বেঙ্গল মিরর, কাজল মিত্র : সোমবার সালানপুর ব্লক প্রশাসনিক কার্যালয়ে জেলাশাসক সহ সমস্ত প্রশাসনিক কার্যকর্তাদের নিয়ে একটি বৈঠক করা হয় যেখানে পানীয় জল রাস্তা বিদ্যুৎ সহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হয়।
একই সাথে প্রায় ১৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বাইপাস চৌরঙ্গী মোড় থেকে রূপনারায়ণপুর রেলস্টেশনের পাশে টোল ট্যাক্স পর্যন্ত রাস্তাটিকে চওড়া করার বিষয়ে বিশেষ আলোচনা হয়।


এদিন জেলাশাসক এস পোন্নামবলমের সভাপতিত্বে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিশ্বনাথ বাউরি, আসানসোলের মেয়র তথা বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়, আসানসোল মহকুমা শাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, একাধিক অতিরিক্ত জেলা শাসক, পি ডব্লিউ ডি রোডস-এর এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার শ্রীকান্ত সিং, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মহঃ আরমান, সালানপুর বিডিও দেবাঞ্জন বিশ্বাস, বিদ্যুৎ বিভাগের এ ই বিপ্লব মন্ডল, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৈলাশপতি মন্ডল, সহসভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্র সহ সমস্ত প্রধান, পুলিশ প্রশাসন এবং অন্যান্য আধিকারিকেরা। জানা গেছে চলতি আর্থিক বছরেই এই রাস্তা ডবল লেন করার কাজ শুরু হয়ে যাবে এবং দু বছরের মধ্যে তা সম্পূর্ণ হবে। ৪১৯ নম্বর এই জাতীয় সড়ক পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে ঝাড়খন্ড বিহারের দেওঘর সহ বহু গুরুত্বপূর্ণ জায়গাকে সংযুক্ত করছে। গাড়ি ঘোড়ার চাপ বাড়ছে।

চৌরঙ্গী মোড় থেকে রূপনারায়ণপুর রেল ব্রিজের আগে পর্যন্ত এই রাস্তা এখন সাড়ে সাত মিটার চওড়া আছে। ঝাড়খন্ড রোড চওড়া আছে সাড়ে পাঁচ মিটার। পুরো রাস্তাটি ১০ থেকে ১২ মিটার চওড়া হবে। মূল রাস্তার দুদিকে ফুটপাত এবং জলের পাইপ বিদ্যুতের খুঁটি ইত্যাদি বসানোর জন্য জায়গা ছাড়া থাকবে। দুপাশে তৈরি হবে উপযুক্ত ড্রেন। মোট ৮ কিলোমিটার ৭২৫ মিটার দীর্ঘ এই রাস্তায় দশটি কালভার্ট, দেন্দুয়া রেল ক্রসিং-এর ওপর ওভারব্রিজ এবং সালানপুর দেন্দুয়া জেমারি আল্লাডিতে রাস্তার পাশে সাড়ে পাঁচ মিটার করে চওড়া সার্ভিস রোড তৈরি হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী বেশ কিছু দোকান, বাড়ি, একাধিক ধর্মীয় স্থান, একটি স্কুল এজন্য ভাঙ্গা পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে ধর্মীয় স্থান অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রশাসন সহযোগিতা করবে, সমস্ত ক্ষেত্রেই উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এই রাস্তাটি ডবল লেন হয়ে যাওয়ার পর একমুখী যানবাহনের গতি ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। রাস্তার মাঝে কোন ডিভাইডার রাখা হবে না। জমি এবং বাড়ি ভাঙ্গা পড়লে সেখানে জমি ও বাড়ির জন্য পৃথকভাবে যথেষ্ট ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে বৈঠকে জানানো হয়। আনুমানিক ৩৮০ টি কাঠামো এজন্য ভাঙ্গা পড়বে। আংশিক বুজিয়ে ফেলতে হবে একটি ছোট জলাশয়ও। বাংলা ঝাড়খন্ড সংযোগকারী এই ৪১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের ডাবল লেন করার বিষয়টিতে অত্যন্ত আগ্রহী জেলা শাসক। অন্যদিকে বলেন কেন্দ্রীয় সরকারের ক্যাবিনেট রাজ্যের এই প্রস্তাবে ইতিমধ্যেই অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে। ব্যয় মঞ্জুরীও পাওয়া গেছে। সমস্ত দিক বিবেচনা করে অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে কাজটি করা হবে বলে তিনি জানান।


একই সাথে পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে পি এইচ ই বিভাগের আধিকারিক সুদীপ কুন্ডু জানান অক্টোবরের মাসের মধ্যে প্রতিটি বাড়ি বাড়ি পানীয় জল আসবে , তাছারা জলের পাইপ বসাতে গিয়ে প্রায় বহু জায়গায় রাস্তা খুঁড়ে নষ্ট করে ফেলছে সেই উত্তরে তিনি জানান এটি একটি সমস্যা রয়েছে কারণ পাইপ লাইন বসাতে গেলে রাস্তা কাটতেই হবে তবে সেই রাস্তা আপাতত সংস্কার করা হবে পড়ে নতুন করে টেন্ডার করা হবে ।

News Editor

Mr. Chandan | Senior News Editor Profile Mr. Chandan is a highly respected and seasoned Senior News Editor who brings over two decades (20+ years) of distinguished experience in the print media industry to the Bengal Mirror team. His extensive expertise is instrumental in upholding our commitment to quality, accuracy, and the #ThinkPositive journalistic standard.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *