ASANSOL

আসানসোল জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকেরা  আন্দোলনে কালো ব্যাজ পড়ে, প্ল্যাকার্ড হাতে,   জুনিয়ারদের কর্মবিরতি

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ আসানসোল জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার বিরুদ্ধে সোমবার হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। তারা কালো ব্যাজ পড়ে ও প্ল্যাকার্ড হাতে হাসপাতাল চত্বরে মিছিল করেন। তারা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই ঘটনায় যুক্ত দোষীদেরকে ফাঁসি দেওয়ার দাবি জানান।
অন্যদিকে, এই ঘটনার প্রতিবাদে অন্য মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মতো আসানসোল জেলা হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসক বা পিজিডিরা ( ডিএনবি কোর্স পড়া) সোমবার কর্মবিরতি পালন করেন। তারা আউটডোরে সিনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে ছিলেন না। তবে তারা ইনডোর বা ওয়ার্ডে রোগী দেখেছেন।


আসানসোল জেলা হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ আরশাদ আহমেদ বলেন, আরজি কর হাসপাতালে নারী চিকিৎসকের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে তা খুবই ভয়ঙ্কর ও চিন্তাজনক। অন্য কোন জায়গা ও বাড়িতে এমন ঘটনা যে ঘটবে না, তার নিশ্চয়তা কোথায়। এই রকম ঘটনা যে কোন মহিলার সাথে ঘটতে পারে। তাই সরকারের উচিত অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে যে কর্মক্ষেত্রে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা। যাতে ভবিষ্যতে কোনও মহিলাকে এভাবে জীবন হারাতে না হয়।


আসানসোল জেলা হাসপাতালের শিশু চিকিৎসক ডাঃ শ্রীরূপা ভট্টাচার্য্য বলেন, এই ঘটনা খুবই দুঃখজনক। আমরা সবাই ঐ মহিলা চিকিৎসকের পরিবারের পাশে আছি। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, চিকিৎসকরা জনগণের সেবায় দিনরাত পরিশ্রম করেন। সেই রকম এক চিকিৎসককে যেভাবে একজন বর্বরের হাতে প্রাণ হারাতে হলো,  তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। যত দ্রুত সম্ভব দোষীদের ফাঁসি দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। এ ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত থাকলে তাকেও কঠোরতম শাস্তি দিতে হবে।

তিনি বলেন, চিকিৎসকরা দিনরাত পরিশ্রম করে জনগণের সেবা করেন। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের প্রথম দায়িত্ব। সেই ব্যবস্থা দ্রুত করতে হবে।
অন্যন্যাদের মধ্যে ছিলেন, ডাঃ রহুল আমিন, ডাঃ সঞ্জিত চট্টোপাধ্যায়, ডাঃ রুদ্রনীল লাহিড়ী।
এদিকে, এদিন দুপুরে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ডিএনবি কনফারেন্স রুমে সুপার ডাঃ নিখিল চন্দ্র দাসের সঙ্গে হাসপাতালের চিকিৎসকেরা নিরাপত্তা নিয়ে একটি বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে আসানসোল দক্ষিণ থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ কৌশিক কুন্ডু ছিলেন।

সুপারের মাধ্যমে চিকিৎসকেরা হাসপাতালের নিরাপত্তা জোরদার করতে পুলিশের কাছে একাধিক দাবি বা প্রস্তাব রাখেন। যার মধ্যে অন্যতম হলো জেলা হাসপাতালে পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো ও নজরদারি আরো বেশি করে করা।
এই প্রসঙ্গে পরে সুপার বলেন, নিরাপত্তা বাড়াতে চিকিৎসকদের তরফে বেশ কিছু দাবি রাখা হয়েছে। পুলিশকে তা বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্য দপ্তরকেও কিছু দাবির কথা বলা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *