গাড়ুই নদীতে ভেসে ও পরিত্যক্ত খাদানে মৃত দুজনের পরিবারকে সরকারি আর্থিক সাহায্য
২ লক্ষ টাকার চেক দিলেন মন্ত্রী মলয় ঘটক
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : আসানসোলে সম্প্রতি বর্ষার বৃষ্টিতে গাড়ুই নদীতে ডুবে দুজনের মৃত্যু হয়। এক ইসিএল কর্মীর মৃত্যু হয় কালিপাহাড়িতে বৃষ্টির জলে ভেসে গিয়ে। পরে অন্য একটি ঘটনায় আসানসোল উত্তর থানার কাল্লায় ব্লু ফ্যাক্টরীর পেছনে পরিত্যক্ত ওসিপি বা কয়লা খাদানের জলে স্নান করতে গিয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়। সবমিলিয়ে চারজনের মৃত্যু হয়। চারজনের নাম হলো চঞ্চল বিশ্বাস, গৌরাঙ্গ রায়, রোহিত রায় ও ইফতিকার আহমেদ ।
শনিবার সকালে আসানসোলের জিটি রোডের ভগৎ সিং মোড় সংলগ্ন সার্কিট হাউসে রাজ্যের আইন ও শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক সেই চারজনের মধ্যে চঞ্চল বিশ্বাস ও ইফতিকার আহমেদের পরিবারের সদস্যদের হাতে সরকারি আর্থিক সাহায্য হিসেবে ২ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন। অন্যদের মধ্যে ছিলেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক এস পোন্নাবলম ও আসানসোলের মহকুমাশাসক (সদর) বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য।
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণের চেক মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, আসানসোলে কয়েকদিন আগে ভারী বৃষ্টিতে জলে ভেসে তিনজন ও অন্য একটি ঘটনায় আরো একজন মারা গেছিলেন। যার মধ্যে এদিন দু’জনের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের চেক দেওয়া হয়েছে। বাকি দুজনের পরিবারকেও এই সাহায্য করা হবে। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার সর্বদা দুর্যোগে আটকে পড়া মানুষকে সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত থাকে। যখনই আসানসোলে এমন কোনও বিপর্যয় ঘটে, রাজ্য সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা বা ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগ পদক্ষেপ নেয়। রাজ্য সরকার সমস্ত ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আসানসোলের গাড়ুই নদী নিয়ে একটা মাস্টার প্ল্যান অবশ্যই হওয়া উচিত। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আসানসোল পুরনিগম ও সেচ দপ্তর বিষয়টি দেখছে৷ আশা করছি, দ্রুত গাড়ুই নদী নিয়ে একটা বন্দোবস্ত হবে।