আবারো ফিরে পাওয়াতে ফেরানো হলো ৬০টি ফোন
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ : দূর দূরান্তে থাকা বহু এলাকাবাসীরা এবার হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফিরে পেল, পুলিশ প্রশাসনের বিশেষ উদ্যোগে। নিজেদের প্রাণের প্রিয় মোবাইল ফিরে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হল মোবাইল ফোনের গ্রাহকেরা। ফিরে পাওয়া মোবাইল হাতে পেয়ে পুলিশকে সাধুবাদ জানালেন সকলে। এই চলতি বছরে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের রানীগঞ্জ থানার পুলিশ এই নিয়ে দ্বিতীয় দফায় আবারও একবার সকলকে মোবাইল ফোন ফিরিয়ে দিয়ে সাধারণ মানুষের আশীর্বাদ প্রাপ্ত করলেন।
এক বছরের সময়কালে রানীগঞ্জ এলাকা ও থানার তিনটি ফাঁড়ি এলাকার বিভিন্ন অংশ থেকে অনেকেই নিজেদের অন্যমনস্কতার কারণে কেউবা নানান ভাবে তাদের মোবাইল ফোন খুইয়ে ফেলায় রানীগঞ্জ থানায় ও পুলিশ ফাঁড়ি গুলিতে মোবাইল ফোন হারিয়ে যাওয়ার বিষয় নিয়ে এক বিশেষ ফ্রম ফিলাপ করে নিজেদের মোবাইলের পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে তুলে ধরেন। আর সেই তথ্যের ভিত্তিতেই পুলিশ প্রশাসনের সাইবার বিভাগের বিশেষ দল মোবাইল ফোনগুলির বিভিন্ন তথ্য অনুসরণ করে তার অবস্থান জেনে সেই সকল মোবাইল উদ্ধার করার পর তা আবারো প্রকৃত গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেন।
এর পূর্বে চলতি বছরের ৭ই জুন প্রায় 70 টি মোবাইল রানীগঞ্জ থানার পুলিশ ইন্সপেক্টর বিকাশ দত্তের নেতৃত্বে উদ্ধার করার পর তার প্রকৃত গ্রাহকদের হাতে তুলে দেন এবার 18 আগস্ট আবারও একবার 60 জন গ্রাহকের হাতে তুলে দেওয়া হল তাদের কাছ থেকে হারিয়ে যাওয়া কারুর বা খুইয়ে যাওয়া সেই সকল মোবাইল। জানা গেছে নামিদামি কোম্পানির ৫৭ টি মোবাইলের সাথেই তিনটি আইফোন উদ্ধার করে পুলিশ। রবিবার সেই সকল খুঁজে পাওয়া মোবাইল গুলিকে পুনরায় তাদের মালিকের হাতেই তুলে দেন পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকদের সাথে রানীগঞ্জের বহু বিশিষ্টজন।
যার মধ্যে বিশেষভাবে উপস্থিত থাকতে দেখা যায় বল্লভপুর ফাঁড়ির আইসি সৌমেন ব্যানার্জি নিমচা ফাঁড়ির আইসি মলয় দাস, পাঞ্জাবি মোড় ফাঁড়ির সেকেন্ড অফিসার কুন্তল হালদার, সহ রানীগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি রোহিত খৈতান, সম্পাদক অরুনময় কুন্ডু, প্রাক্তন সভাপতি অরুন ভারতীয়, প্রদীপ বাজোরিয়া, মনোজ কেশরী, রানীগঞ্জের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল সাহাজাদা, রুপেশ যাদব দিব্যেন্দু ভগত প্রমুখো।