কাঠকলে বনদপ্তরের অতর্কিত অভিযান, সিজ করা হল মেশিন
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, জামুড়িয়া : দুদিন ধরে লাগাতার অভিযান চালিয়ে কাঠের গোলায় অবৈধভাবে কাঠমোজুত করার অভিযোগ তুলে ও অবৈধভাবে ভারী যন্ত্রাংশের সাহায্যে কাট কাটার অভিযোগে ভারী যন্ত্রাংশ সিজ করল বনবিভাগ এর আধিকারিকেরা। শুক্রবার সন্ধ্যে থেকে গভীর রাত্রি পর্যন্ত বন বিভাগের আধিকারিকেরা জামুড়িয়ার কুয়া মোড়ের কাছে অবস্থিত রাজেশ ভান্ডারীর কাঠগোলায় অভিযান চালিয়ে, বেশ কিছু তাজা, বহু পুরনো মূল্যবান গাছের গুড়ি কাঠকলের মধ্যে লক্ষ্য করে বন বিভাগের আধিকারিকেরা। আর তার সাথেই তারা লক্ষ্য করে ওই কাঠগোলার মধ্যে রয়েছে দুটি দুটি কাঠ কাটার মেশিন। যার মধ্যে একটি হালকা কাঠ কাটার যন্ত্র ওই কাঠকলে চালানোর অনুমোদন রয়েছে বলে জানা গেছে, আর তার সাথেই তারই এক প্রান্তে এক বৃহৎ আকৃতির কাঠচেরাই মেশিন লক্ষ্য করে বন বিভাগ। যান অবশ্য কোন অনুমোদন ছিল না বলে জানা গেছে।
এই ঘটনার পরই রাত্রেই বন বিভাগের আধিকারিকেরা সেখানের বৃহদাকৃতির ওই যন্ত্রাংশটির সুইচ বোর্ডের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় পাশাপাশি ওই বৃহৎ যন্ত্রের মধ্যে চেইন লাগিয়ে তালাও মেরে দেয়। শনিবার সেই অংশে আবারো চলল অভিযান। এদিন বনবিভাগের বিশাল সংখ্যক বাহিনীকে সঙ্গে এনে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় তারা ওই বৃহৎ যন্ত্রাংশের চেন লাগা দুটি অংশের তালাতে সিল মেরে দেয়।
যদিও এ বিষয়ে কাঠ কলের মালিক রাজেশ ভান্ডারী অবশ্য দাবী করেছেন তিনি নিয়ম মেনেই মিল চালাচ্ছেন, সমস্ত কাগজপত্র তার সঠিক রয়েছে বলেই দাবি তার, তবে ভারী যন্ত্রাংশর বিষয় প্রসঙ্গে তিনি দাবি করেন, তার এই যন্ত্রাংশ লাগানোর নিয়ম কানুন প্রসঙ্গে কিছুই জানা ছিল না, সেই যন্ত্রাংশ এক বছর আগেই তিনি লাগিয়েছেন বলেই দাবি করেন। তবে এদিন অনেকেই প্রশ্ন করেন যে একদিকে যখন রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে, বর্ষার সময়কালে সারা বিশ্বের সাথেই পশ্চিমবঙ্গ জুড়েও চলছে বন মহোৎসব কর্মসূচি পালন,আর সে সময় নির্বিচারে এরূপভাবে বৃক্ষ ছেদন করে কিভাবে তারা কাট কল চালাচ্ছে তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন।
যদিও এ বিষয়ে বিট অফিসার সুমন্ত দাস জানিয়েছেন কাঠকল মালিকের এই সদ্য সংগ্রহ করা কাট গুলি সম্পর্কে কোন তথ্য তাদের দেওয়া হয়নি, তাই কোন উপযুক্ত তথ্য না দেওয়ার কারণে ও যে সময় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সে সময়কালে এরূপভাবে গাছ কেটে তা বিক্রি করার উদ্যোগ গ্রহণকে তারা অবৈধ বলেই দাবি করেছেন।