ডিওয়াইএফআইয়ের মিছিলে হামলা ও সিপিএমের কার্যালয়ে বোমাবাজির ঘটনা, দুর্গাপুরে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়দের
বেঙ্গল মিরর, দূর্গাপুর, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে নেমে বুধবার ডিওয়াইএফআইয়ের মিছিল ও সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ে হামলা ও বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছিলো তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার প্রতিবাদে ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে রাস্তায় নামল সিপিএম ও বিভিন্ন বাম সংগঠন। করা হয় মিছিল ও সভা। তা করতে পুলিশ বাধা দিতে গেলে পুলিশের সাথে চলে বচসা ও ধস্তাধস্তি। ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, সিটুর রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অনাদি সাহু, রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা, আসানসোলর প্রাক্তন সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরী, দূর্গাপুরের প্রাক্তন বিধায়ক বিপ্রেন্দু চক্রবর্তী, সিপিএমের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়, পার্থ মুখোপাধ্যায় সহ জেলা ও রাজ্য নেতৃত্ব এদিন রাস্তায় নামে।
দুর্গাপুরের গান্ধী মোড় থেকে শুরু হয় সিপিএমের মিছিল। মিছিলের রুট ছিল স্টেডিয়াম হয়ে দুর্গাপুর পুরনিগম পর্যন্ত যাওয়া। কিন্তু পুলিশ সেই মিছিলের অনুমতি না দেওয়াশ গান্ধী মোড়ের কাছ দিয়ে ১৯ নং জাতীয় সড়কের সার্ভিস রোড হয়ে পুরনিগমের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে সিপিএম নেতৃত্ব। দুর্গাপুর পুরনিগম মোড়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন সিপিএম কর্মী ও সমর্থকরা। পুলিশের সাথে শুরু হয় সিপিএম কর্মীদের বচসা থেকে ধস্তাধস্তি। আসানসোল দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার অভিষেক গুপ্তার নেতৃত্বে গোটা পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয়েছিলো বিশাল পুলিশ বাহিনী।
সিটুর রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অনাদি সাহু বলেন, আমাদের কর্মীদের ওপর নৃশংস ভাবে বোমা ছুঁড়ে হামলা চালালো তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতিরা। আর আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলকেই বাধা দিচ্ছে দলদাস পুলিশ। আমাদের প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে। পুলিশ বাধা দিতে এলে প্রতিরোধ হবে। যতদিন না আরজি করের ঘটনার বিচার পাওয়া যাবে ততদিন পর্যন্ত আন্দোলন চলবে সিপিএমের।
অন্যদিকে এদিনের মিছিল থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পুলিশ ও তৃনমুল কংগ্রেসকে একযোগে আক্রমণ করেন। তিনি আরজি করের ঘটনা টেনে সতর্ক করেন সিভিক ভলেন্টিয়ারদেরকে।