RANIGANJ-JAMURIA

রানীগঞ্জের আইএমএ হলে অভয়া ক্লিনিক এর মাধ্যমে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান

বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ : এ যেন প্রতিকার মঞ্চ হয়ে উঠল চাঁদের হাট । রবিবার ছিল রানীগঞ্জের আই এম এ হলে একসাথে সমস্ত চিকিৎসকদের প্রতিবাদ মঞ্চ অবহেল অভয়া ক্লিনিক এর মাধ্যমে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান। আর সেখানেই এবার খনি অঞ্চল রানীগঞ্জে আইএম এর সঙ্গে যুক্ত সমস্ত চিকিৎসা করতে হাজির হলে শয়ে শয়ে রোগী আসেন চিকিৎসা করাতে। আর এই সুযোগে একই ছাদের তলায়, সকল চিকিৎসকদের সামনে পেয়ে, রোগীর আত্মীয় পরিজন, রোগীর মধ্যে অন্য কোন উপসর্গ দেখে,অন্য কোন রোগ লক্ষ্য করে, তার প্রতিকার করাতে তখনই রোগীর আত্মীয়রা পাশের চিকিৎসককে চিকিৎসা করিয়ে পায় সফলতা।

চোখের সামনে নামিদামি সব ডাক্তার বিনামূল্যে চিকিৎসা করায় ও রোগীদের পরিষেবা প্রদান করায়, সকলেই খুশি। আর সারা রাজ্যের পাশাপাশি এবার খনি শহর রানীগঞ্জে এমনই বিষয় লক্ষ্য করা যায় অভয়া ক্লিনিকে। রানীগঞ্জের প্রায় বেশিরভাগ চিকিৎসক এদিন আর জি কর কাণ্ডের  প্রতিবাদ করে, অভয়া ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য যোগদান করেন । আর এতেই এই অভয়া ক্লিনিক যেন হয়ে ওঠে মাল্টি স্পেশালিটি হসপিটাল। 

এখানেই বহু রোগী, কেউ যদি অস্থিরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে পৌঁছে যান, তিনি আবার সুগার প্রেসার এর সমস্যায় রয়েছেন, তার জন্য যে চিকিৎসক রয়েছেন তার পরামর্শ  মুহূর্তে পেয়ে যান। একইভাবে ইএনটি স্পেশালিস্ট এর পরামর্শ পেয়ে যান, বেশ কিছু রোগী পাশেই মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক ও প্রসূত বিশেষজ্ঞর পরামর্শ পান। আর এই রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে, মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নিতে কেউ কার্পণ্য করে না।এদিন বিনামূল্যে চিকিৎসা করার পাশাপাশি সকল চিকিৎসকেরাই রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ প্রদান করার জন্য উদ্যোগ নেন। যার জন্য এদিন আইএমএ ভবনের সামনেই একটি ফ্রি মেডিকেল ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার ও করা হয়।

যেখানে বিনামূল্যে চিকিৎসার পর, বিনামূল্যে ওষুধ পেয়ে খুশি সকল রোগীর, পরিজন। চিকিৎসকেরা এদিন তাদের লেটার প্যাডে কালো কালীর স্ট্যাম্প মারেন, জাস্টিস ফর আরজিকর স্ট্যাম্প দিয়ে। সকল রোগীকে বিচার চাওয়ার কথা তুলে ধরেন। একইভাবেই ছয়টি প্রশ্ন তারা তুলে ধরেন সকলের সামনে। কিভাবে রহস্যময় এই ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনা ঘটলো, তা নিয়ে যেমন প্রশ্ন ওঠে। তার সাথেই প্রশ্ন ওঠে কিভাবে ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে এই ঘটনাকে, সেই সকল প্রশ্নের উত্তর চেয়ে তারা নিজেদের চিকিৎসা চালিয়ে যান চিকিৎসকদের দাবি এক না একদিন তারা প্রকৃত বিচার পাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *